ফুটবলারকে 'গরিলা' বলে সমালোচনার মুখে পাণ্ডিয়ার প্রাক্তন বান্ধবী
পাণ্ডিয়াও একইভাবে নিজের দোষ স্বীকার করেছিলেন। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। এবার এষাও একইভাবে ক্ষমা চাইলেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : তিনি বা হার্দিক পাণ্ডিয়া, কেউই নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি কখনও। তবে একাধিকবার তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে হোটেলে বা অন্য কোথাও দেখা গিয়েছে। দুই পক্ষের ঘনিষ্ঠরা বলেন, দীর্ঘদিন বলিউড নায়িকা এষা গুপ্তাকে ডেট করেছেন পাণ্ডিয়া। এষা অবশ্য সম্প্রতি সে কথা অস্বীকার করেছেন। কফি উইথ করণ শো-তে মহিলাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন পাণ্ডিয়া। তার পরই ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা চটে যান এষা। এবার হার্দিকের সেই প্রাক্তন প্রেমিকাই মহাসমস্যায়। এক ফুটবলারকে আচমকাই বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। পরে অবশ্য ক্ষমা চাইলেন। কিন্তু তাতে ড্যামেড কন্ট্রোল হল না।
আরও পড়ুন- ১৯ বছর বয়সে ওর ১০ শতাংশ প্রতিভাও আমার ছিল না, শুভমানের বিরাট প্রশংসায় কোহলি
পাণ্ডিয়াও একইভাবে নিজের দোষ স্বীকার করেছিলেন। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। এবার এষাও একইভাবে ক্ষমা চাইলেন। কিন্তু সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন না। নেটিজেনরা প্রবল সমালোচনা করলেন তাঁর। আর্সেনালের নাইজেরিয়ান ফুটবলার আলেক্সান্দার আইয়োবিকে গোরিলা বলে বসেন এষা। শুধু তাই নয়, এষা আইয়োবিকে বর্বর আদিম জাতির সঙ্গেও তুলনা করেন। এষা আর্সেনালের ফ্যান। তাই খেলা দেখতে বসে আবেগ বশে রাখতে পারেননি। আইয়োবির পারফরম্যান্সে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই রাগের মাথায় এমন বলে ফেলেছেন বলে দাবি করেন।
It was us discussing our frustration during the game.sorry as I din realise it directed towards racism.laughed over the spur of the moment, which was the games result guys.been victim of racism myself before. But this is not something m proud of. It was a fault,sorry guys
— Esha Gupta (@eshagupta2811) January 27, 2019
এর আগে এষা নিজেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বলে দাবি তুলেছিলেন। এবার সেই এষা নিজেই বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করলেন। ফলে ব্যাপারটা কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না নেটিজেনরা। তারা এষাকে তুলোধনা করলেন। এষা উত্তরে লিখলেন, ''নিজের বক্তব্যের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বুঝতে পারছি, ব্যাপারটা বর্ণবিদ্বেষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তবে আমার উদ্দেশ্য কখনওই কাউকে আঘাত করা ছিল না। খেলার সময় হতাশ হয়ে এমনটা বলে ফেলেছি। সেউ মুহূর্তে মজার ছলে ওটা বলে ফেলেছিলাম। এটা আমার মূর্খামি। ক্ষমা করে দিন।'' বছর দুয়েক আগে এষা দাবি করেছিলেন, কৃষ্ণবর্ণ হওয়ায় তাঁকেও একাধিকবার বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে।