Parimal Dey Death: ৮২-তে থেমে গেলেন ময়দানের প্রিয় 'জংলা', সুভাষ, সুরজিতের কাছে গেলেন পরিমল দে
১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে (IFA Shield Final) ইরানের পাস ক্লাবের বিপক্ষে গোল ছিল পরিমল দে-র। স্বাধীনতার পর সেই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্লাব বিদেশি ক্লাবকে পরাজিত করে শিল্ড জিতেছিল। ইস্টবেঙ্গলের সেই গৌরবময় ইতিহাসের নায়ক ছিলেন পরিমল দে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুভাষ ভৌমিক (Subhash Bhowmick)। সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta)। আর এবার পরিমল দে (Parimal Dey)। না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন এক সময়ের কলকাতা ময়দানের 'গ্ল্যামার বয়'। চিরতরে চোখ বন্ধ করার আগে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। গত কয়েক বছর ধরে অ্যালজাইমারে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। মঙ্গলবার রাত ১২.১৫ মিনিটে রুবির বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে (IFA Shield Final) ইরানের পাস ক্লাবের বিপক্ষে গোল ছিল পরিমল দে-র। স্বাধীনতার পর সেই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্লাব বিদেশি ক্লাবকে পরাজিত করে শিল্ড জিতেছিল। ইস্টবেঙ্গলের সেই গৌরবময় ইতিহাসের নায়ক ছিলেন পরিমল দে। ফাইনালে তাঁর অনবদ্য গোল ময়দানের প্রবীণ ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে আজও অক্ষত।
ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে পরিবর্ত হিসাবে নেমেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক গোলটি করেন পরিমল। তাঁর সেই গোল মিলিয়ে দিয়েছিল গোটা ময়দানকে। ইস্ট-মোহন-মহামেডান সমর্থকরা যেন মুহূর্তে ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে যান। তারপর থাকে দর্শকরাই কাঁধে তুলে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: Lionel Messi: মেসির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট 'ব্লকড'! কিন্তু কেন এমন হল?
আরও পড়ুন: Virat Kohli: কোন মহিলার দেখা না পেয়ে হতাশ বিরাট? নিজেই জানালেন 'কিং কোহলি'
পরিমল তাঁর কেরিয়ার শুরু উয়াড়ি ক্লাবে। সেখান থেকে প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগানে সুযোগ পান। কয়েক মরসুম সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলার পর, পরিমল চলে আসেন ইস্টবেঙ্গলে। সেই হল হল শুরু। লাল-হলুদ জার্সি পরে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত। তাঁর মূল পরিচিতি ইস্টবেঙ্গল থেকেই। ময়দানে তিনি 'জংলা' নামেই পরিচিত ছিলেন।
টানা ৬ বছর লাল-হলুদে খেলেছেন তিনি। খেলতেন ফরোয়ার্ড পজিশনে। ১৯৬৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে জীবনকৃতি সম্মান দেয় ইস্টবেঙ্গল। এরপর ২০২১ সালে লাল-হলুদের শতবর্ষের অনুষ্ঠানেও মজিদ বাসকারের সঙ্গে এক স্টেজে উপস্থিত ছিলেন পরিমল। অরিজিৎ সিং-এর 'জার্সি মানেই আমার মা' গানে দুলিয়েছিলেন কোমর।
এহেন ফুটবলারের প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া ময়দানে। শেষের কয়েক বছর তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। একাকীত্বে ভুগতেন। সেই একাকীত্বকে সঙ্গী করেই, সুভাষ, সুরজিতদের কাছে চলে গেলেন লাল-হলুদের কিংবদন্তি। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।