Deepti Sharma: কলকাতায় ফিরে মানকাডিংয়ের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে মুখ খুললেন দীপ্তি!
সোমবার সকালে দীপ্তি ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আগ্রার বছর পঁচিশের অলরাউন্ডার। সেখানেই তিনি প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন এই চর্চিত রান-আউট নিয়ে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টিম ইন্ডিয়ার স্পিনার দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma) মানকাডিং করে রান-আউট করেছেন ইংল্যান্ডের চার্লি ডিনকে (Charlie Dean)। এরপর থেকেই বাইশ গজে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মানকাডিং। সদ্যসংশোধিত আইসিসি-র (ICC) নিয়মে মানকাডিং বৈধ বলে স্বীকৃত হয়েছে। এরপরেও ইংল্যান্ডের একাধিক বর্তমান থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মানকাডিং নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়াই দিয়েছেন। যদিও আর অশ্বিনের (R Ashwin) মতো ক্রিকেটাররা দীপ্তির পাশেই দাঁড়িয়েছেন তাঁর রক্ষাকবচ হয়ে। সোমবার সকালে দীপ্তি ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আগ্রার বছর পঁচিশের অলরাউন্ডার। সেখানেই তিনি প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন এই চর্চিত রান-আউট নিয়ে।
দীপ্তি এদিন বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনাই ছিল চার্লি ডিনকে আউট করার। ওকে বারবার সতর্ক করেছিলাম। আম্পায়ারকেও এই বিষয় বলেছিলাম। ও ওখানেই দাঁড়িয়ে ছিল, তো আমাদের কিছু করার ছিল না। আর আমরা যা করার আমরা নিয়মের মধ্যে থেকেই করেছি নির্দেশিকা মেনে।' দীপ্তির মানকাডিংয়ের ঘটনার দিনই ছিল ঝুলন গোস্বামীরও আন্তর্জাতিক আঙিনায় দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ। লর্ডসে হোক কিংবদন্তি পেসারের মধুরেণ সমাপয়েৎ। এমনটাই চেয়েছিলেন হরমনপ্রীত কউররা। এই প্রসঙ্গে দীপ্তির বক্তব্য, 'দেখুন আমরা চেষ্টা করেছিলাম জিতেই ঝুলনদিকে ফেয়ারওয়েল দিতে। তার জন্য দল হিসাবে যা করার আমরা করেছি সবাই মিলে। '
আরও পড়ুন: 'চাকদহ এক্সপ্রেস'-কে দেখতে বিমানবন্দরে উপচে পরা ভিড়
দীপ্তির মানকাডিং নিয়ে বিতর্কের পর এমসিসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'এমসিসি চলতি বছর ক্রিকেটীয় আইনে যে সংশোধন এনেছে, সেখানে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়ানো ব্যাটারের রান-আউটকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইনের ৪১ ধারায় আনফেয়ার প্লে-কে ৩৮ ধারায় রান আউট করা হয়েছে। এই পরিবর্তন আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী ১ অক্টোবর বলবৎ হবে। ব্যাটারদেরই দায়িত্ব, তারা যেন ক্রিজের মধ্যে থাকে। বোলার বল রিলিজ করার আগে, তারা যেন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে না আসে। পরিস্কার এই আইন। আম্পায়ারদের সহজেই সকল রকমের খেলায় বিষয়টি বুঝে নেওয়া দরকার এই মুহূর্তে। ক্রিকেটের স্পিরিটে কোনও পার্থক্য নেই কোথাও। এমসিসি প্রশংসা করছে তাদের, যারা বিশ্বের ভিন্ন প্রান্তে এই নিয়ম প্রয়োগ করেছে। সম্মানের সঙ্গে বিতর্ক স্বাস্থ্যকর। তা চলতে থাকবে। ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতেই এটা দেখা হবে, কেউ বলবে বোলার খেলার স্পিরিট মানছে না। কেউ আবার বলবে ব্যাটার নন-স্ট্রাইকারে থাকার জন্য আগে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে। এমসিসি নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়ানো ব্যাটারদের এটাই বলবে, তারা বোলারের হাত থেকে বল বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত যেন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে না আসে। যেরকম আউট গতকাল হয়েছে। সেটা হতে পারে না। গতকাল অপ্রত্যাশিত ভাবে ম্যাচের শেষ হয়েছে। যদিও যথাযথ ভাবে তা দেখা হয়েছে। এই নিয়ে বেশি কিছু ভাবা হবে না।' এমসিসিও জানিয়ে দিল যে, দীপ্তি ঠিক। বাকিরা ভুল।