লিগ খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের

ম্যাচ অন্তত ড্র রাখতে পারলেই লিগ খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিক গড়বে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে কিন্তু ম্যাচ জিততেই হবে। তার মানে কোনও গোল না খেযে আরও অন্তত দুটো গোল করতে হবে মোহনবাগানকে।

Updated By: May 23, 2013, 06:13 PM IST

ইস্টবেঙ্গল (৩) মোহনবাগান (২)
(চিডি-২, পেন) (ওডাফা, টোলগে)
ফেডারেশন কাপের পর এবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চৌত্রিশবার কলকাতা লিগ জিতল লাল হলুদ ব্রিগেড। চিড্ডি-পেনদের দাপট দেখে মরসুমের শেষদিন লাল-হলুদ জার্সি পরে সমর্থকরা বাড়ি ফিরলেন উত্সবে আনন্দে, চওড়া হাসি হেসে। এদিন প্রথম একাদশে হাফ ফিট ইচেকে রেখেছিলেন কোচ করিম। বড় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার জন্য নেহাতই করিমি কৌশল। কিন্তু সেই কৌশল বুমেরাং হয়ে গেল ম্যাচের মাত্র কুড়ি মিনিটে। লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করেই কোচ মরগ্যান বিদায় জানালেন ইস্টবেঙ্গলকে।
 
হাফফিট ইচেকে পেয়ে চিড্ডি-পেনরা শুরু করেছিল মোহনবক্সে শুরু করেছিল আক্রমণের ঝড়। তাতে ওলটপালট হয়ে যায় সবুজ-মেরুন ডিফেন্স। হাফফিট ইচেকে দিয়ে যে সেই ঝড় সামাল দেওয়া যায়না তা বুঝে মাত্র কুড়ি মিনিটেই ইচেকে তুলে নেন করিম। ইচেহীন ডিফেন্স পেয়ে পেন-ডিকা-চিড্ডিদের বল্গাহীন আক্রমণ। ইচে ওঠার কয়েকমিনিটের মধ্যেই গোল চিড্ডির। তার আগে অবশ্য আরও দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট হয়েছে।খেতাব জিততে হলে ম্যাচ জিততে হবে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মোহনবাগান গোলের জন্য ঝাঁপানো দূরে থাক, ডিফেন্সের ঝাঁপ বন্ধ করতেই ব্যস্ত ছিলেন আইবর-নবিরা। আবার গোল। দুরন্ত মুভমেন্টের ফসল পেনের নিখুঁত গোল। মোহনবাগান যখন ২-০ গোলে এগিয়ে তখন প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্রিকিক থেকে দুর্ধর্ষ গোল করে ব্যবধান কমান ওডাফা। দ্বিতীয়ার্ধেও যেন প্রথমার্ধের ফটোকপি। লাল হলুদ ঝড়। আর সবুজ-মেরুনের ডিফেন্সের শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর চেষ্টা ।বাগান ডিফেন্স আবার ভুল করতেই চিড্ডির গোল। ওডাফা-টোলগের ফেরার সব সুযোগ শেষ হতে থাকে। অতিরিক্ত সময়ে টোলগের গোলে ব্যবধান কমালেও লিগ ততক্ষণে ট্রেভর জেমস মরগ্যানের দল পকেটে পুরে ফেলেছে। মেহতাবরা সুযোগ নষ্ট না করলে স্কোরলাইন পাঁচ-দুই হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।
এক নজরে দেখে নিন আজকের ম্যাচের কিছু গুরত্বপূর্ণ মুহূর্ত--
খেলা শেষ। চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল।
৯২ মিনিট- ব্যবধান কমালেন টোলগে। তবে অনেক দেরি হয় গেল। ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে নৌকাডুবি হচ্ছে যুবভারতীতে।
৯০ মিনিট- ইনজুরি টাইম হিসাবে দেওয়া হল ৪ মিনিট সময়।
৮৮ মিনিট-কলকাতা লিগ খেতাবের হ্যাটট্রিকের পথে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছে।
৮২ মিনিট-ইস্টবেঙ্গল (৩) মোহনবাগান (১)
আবার গোল ইস্টবেঙ্গলের। গোল করলেন চিডির। ম্যাচে দ্বিতীয় গোল চিডির।
৭০ মিনিট-মোহনবাগানের কাজটা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল (২) মোহনবাগান (১)
ইস্টবেঙ্গলের খেলোযাড় পরিবর্তন- রহিম নবির জায়গায় নামলেন মেহরাজ
৬২ মিনিট-ওডাফা চেষ্টা করছেন, কিন্তু টোলগের সাহায্য পাচ্ছেন না। ম্যাচের ফল এখনও ইস্টবেঙ্গল (২) মোহনবাগান (১)
৬০ মিনিট- ফুটবলাররা হঠাত্‍ মেজাজ হারালেন। ডার্বিতে আবার ঝামেলার আশঙ্কা। তবে রেফারির কৃতিত্বে আবার খেলা শুরু হল।
৫৫ মিনিট- ম্যাচ যত যাচ্ছে চাপ বাড়ছে ১-২ গোলে পিছিয়ে থাকা মোহনবাগানের উপর। কারণ লিগ খেতাব জিততে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে মোহনবাগানকে।
৫০ মিনিট- ফ্রিকিক পেল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি বক্সের কিছু আগে থেকে এই ফ্রিকিকটি নিলেন চিডি। বল সরাসরি গোলকিপারের হাতে।
   
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ (৪-৪-১-১)-অভিজিত্‍ মণ্ডল, নওবা সিং, ওপারা, ইসফাক, অর্ণব, সৌমিক, মেহতাব, ডিকা, লোবো, পেন, চিডি
মোহনবাগানের প্রথম একাদশ--শিলটন পাল, নির্মল ছেত্রী, ইচে, আইবর, বিশ্বজিত্‍, ডেনসন, নবি, মণীশ (সিনিয়র), ওডাফা, সাবিথ, টোলগে
বিরতির পর খেলা শুরু। চনমনে দেখাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। মোহনাবাগান ফুটবলারদের দেখে মনে হচ্ছে কিছুটা চাপে আছেন।
ম্যাচ অন্তত ড্র রাখতে পারলেই লিগ খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিক গড়বে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে কিন্তু ম্যাচ জিততেই হবে। তার মানে কোনও গোল না খেযে আরও অন্তত দুটো গোল করতে হবে মোহনবাগানকে।
মরসুমের শেষ ডার্বি জমজামাট। অনেক উত্থানের পর, বিরতি পর্যন্ত ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ইস্টবেঙ্গল (২) মোহনবাগান (১)।
৪৪ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল (২) মোহনবাগান (১‍)
৪৩ মিনিট- কর্নার নিলেন মণীশ মাথানি। পাল্টা প্রতি আক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের। গোলের খুব কাছে চিডি। না বল পোস্টে লেগে ফিরে এল। বিপদ এখনও কাটেনি মোহনবাগানের। অবশেষে বিপদ কাটল বাগানের
৪২ মিনিট- টোলগে একে একে কাটিয়ে এগোচ্ছেন। গোলের একেবারে সামনে টোলগে। না গোল হল না অল্পের জন্য কর্নার পেল মোহনবাগান।
৩৯ মিনিট- গোল শোধ করল মোহনবাগান। বিশ্বমানের ফ্রিকিকে গোল করলেন ওডাফা। অবিশ্বাস্য, অসাধারণ, অনবদ্য গোল।
৩৭ মিনিট-পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রিকক পেল ইস্টবেঙ্গল। শট নিলেন চিডি। বল পোস্টে লিগে ফিরে এল। ম্যাচের ফল এখন ২-০ ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে।
 
৩৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল (২) মোহনবাগান (০)। চিডি, পেনকে দেখে মনে হচ্ছে আজ আর মোহনবাগানকে খেবলতে দেবেন না। মাঠ জুড়ে লাল হলুদ। ওডাফা-টোলগে কী ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন!
 
এ কী করছেন করিম। মোহনবাগান ডিফেন্ডারদের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া নেই। ইচেকে তুলে নিয়ে করিম কী করলেন সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সেই সুযোগে পিকনিক করছেন চিডি-পেনরা।
২৮ মিনিট-ইস্টবেঙ্গল (২) মোহনবাগান (০) (চিডি, পেন)
 
আবার গোলললল। আবার ইস্টবেঙ্গলের... ২৮ মিনিটে গোল করলেন পেন। মোহন ডিফেন্সকে নিয়ে হাসিহাসি চলছে।
২৬ মিনিট-মোহনবাগানের কী হলটা কী! আবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেন পেন। লিগ জিততে হলে কিন্তু মোহনবাগানকে জিততেই হবে। অন্যদিকে, অন্তত ড্র করলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল।
 
২৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল (১) মোহনবাগান (০) (২৩ মিনিটে গোল চিডির)
    গোললললল... ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় গোল করলেন চিডি। দারুণ ফুটবল ইস্টবেঙ্গলের, দুর্বল ডিফেন্স মোহনবাগানের।
 
২০ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল (০) মোহনবাগান (০)
 
১৭ মিনিট-আবার গোলের খুব কাছে ইস্টবেঙ্গল। চিডি-পেনের দ্বৈত স্কিলে গোলের খুব কাছে পৌঁছে গেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে এবারও গোল হল না।
 
১৫ মিনিট- দুরন্ত পেন। তবে অল্পের জন্য গোল হল না। দারুণ সেভ শিলটনের। মোহনবাগান বেঁচে গেল
 
৯ মিনিট- অল্পের জন্য গোল পেল না মোহনবাগান। সাবিথের দুরন্ত শট বাঁচালেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক অভিজিত্‍ মণ্ডল।
ম্যাচের ৫ মিনিট- কোন গোল হল না। সাবধানী শুরু দুই দলের।
বিকাল ৫টা- ম্যাচ শুরু।
আজকের ম্যাচে জিততেই হবে মোহনবাগানকে। জিতলে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে করিম বেঞ্চারিফার দল।
মাঠে ৫০ হাজারের বেশি দর্শক হয়েছে।
ডার্বি ম্যাচের রেফারি- সন্তোষ কুমার, ম্যাচ রেফারি-সুমন্ত্র ঘোষ, ফোর্থ রেফারি-সি আর কৃষ্ণ
 
আজ জিতলে পরপর তিনবার ঘরোয়া লিগ জয়ের নজির গড়বে। মরগ্যান বললেন, জিতলে বড় উত্‍সব হবে।
টিকিটের দাম বেশ কম, তাই মনে করা হচ্ছে দর্শকে মাঠ ভরে যাবে
আজ ড্র করলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হবে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের ফয়সালার ডার্বি

.