ধুতি পরে খেললেন ক্রিকেটাররা, কমেন্ট্রি হল সংস্কৃতে!
ভারতীয় ঐতিহ্য বজায় রইল। আবার ক্রিকেটেরে নিয়ম-কানুনও উপেক্ষিত হল না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : যে খেলার জন্ম ইংল্যান্ডে তাতে সাজগোজের একটা ব্যাপার তো থাকবেই! ক্রিকেট, যাকে কি না বলা হয় জেন্টলম্যান'স গেম। সেই ক্রিকেটে যদি ধুতি পরে ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে পড়েন, কেমন লাগে! প্রথাভাঙা তো চলেই, তাই না! আর সেটা ক্রিকেট হলেও ঝুঁকিটা নিতে ভয় পেলেন না তাঁরা। ক্রিকেট জার্সি ছেড়ে একেবারে ধুতি-কুর্তা পরে মাঠে নেমে পড়লেন ওঁরা। প্রথা ভাঙল। নতুন একটা অধ্যায় তৈরি হল যেন। এটাও কিন্তু রেকর্ড হয়ে থাকবে। ধুতি পরার ক্রিকেটারদের খেলার ধারাবিবরণী চলল সংস্কৃতে। অদ্ভুত কাণ্ড! কিন্তু কাণ্ডটা বেশ মজার!
আরও পড়ুন- বেবিসিটিং! অস্ট্রেলিয়াকে ঠাট্টা ফিরিয়ে দিল ভারত, ঝোড়ো 'ব্যাটিং' শেহবাগের
অনেকে মজা করে বললেন, ক্রিকেটের দেশি ভার্সন। খুব একটা ভুল বললেন না তাঁরা। সাহেবদের প্রবর্তিত খেলাকে একেবারে দেশি ভঙ্গিতে উপস্থাপনা করা হল। দর্শকরা উপভোগ করলেন এমন ক্রিকেট। ধুতি-কুর্তা পরেই মাঠে দাপালেন ক্রিকেটাররা। তাদের বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ের ব্যাখ্যা ধারাভাষ্যকাররা দিলেন শুদ্ধ সংস্কৃতে। মঙ্গলবার এমনই এক দেশি ক্রিকেট ম্যাচ দেখল বেনারস। সম্পূ্র্ণানন্দ সংস্কৃত বিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিজেদের আচার-কায়দার সঙ্গে ক্রিকেটকে মিশিয়ে ফেললেন। ভারতীয় ঐতিহ্য বজায় রইল। আবার ক্রিকেটেরে নিয়ম-কানুনও উপেক্ষিত হল না। দুটোকেই বজায় রেখে চলল ম্যাচ। পাঁচটি স্কুলের ছাত্ররা মেতে উঠলেন এমন নতুন উদ্যোগে।
আরও পড়ুন- 'ভারতকে ক্রিকেট সিরিজ খেলতে বাধ্য করব আমরা', বলছে পাকিস্তান
বেনারসের সম্পূ্র্ণানন্দ সংস্কৃত বিদ্যালয়ের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের উপলক্ষে এক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান, পবনকুমার শাস্ত্রী বলছিলেন, “ঐতিহ্য এবং খেলাকে এক ছাদের তলায় সুন্দরভাবে নিয়ে আসা যেতে পারে! আমাদের ছেলেরা সেটাই প্রমাণ করল। আমরা নতুন কিছু চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম। সেই ভাবনা থেকেই এই ধরণের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন।” এইদিন পাঁচটি স্কুলের মধ্যে হওয়া এই টুর্নামেন্ট দেখতে ছিল স্থানীয় মানুষের ভিড়। আসলে দর্শকদের মধ্যে ধুতি পরা ক্রিকেটারদের দেখার উত্সাহ ছিল প্রবল। তবে অনেকে প্রশ্ন রাখলেন, জার্সি পরে ক্রিকেট খেলার পিছনে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ধুতি-কুর্তা পরে খেলতে নামলে ক্রিকেটাররা কতটা স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন রইল। তবে এদিন মাঠে এত তলিয়ে ভাবার মতো কেউ ছিলেন না। সবাই চেয়েছিলেন, নতুন এই উদ্যোগে গা ভাসাতে। আর তাতে আয়োজকরা সফল। ক্রিকেট ছাড়াও এইদিন সম্পূ্র্ণানন্দ বিদ্যালয় আরও কিছু্ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।