তিন ঘণ্টা পুলিসের জেরার মুখে ঘাবড়ে গেলেন বিজেন্দর
পুলিসি জেরার মুখে পড়ে ঘাবড়ে গেলেন অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিং। তিন ঘণ্টা ধরে চলা জেরার মুখে বিজেন্দর মোটেই স্বচ্ছন্দে ছিলেন না বলে জানান এক পুলিস কর্মী। ড্রাগ-পাচার বিতর্কে অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পঞ্জাব পুলিস। সোমবার তদন্তকারী দলের দুই সদস্য জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতের চ্যাম্পিয়ন এই বক্সারকে। ড্রাগ পাচার বিতর্কে মূল অভিযুক্ত অনুপ সিংয়ের সঙ্গে বিজেন্দরের সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে। বিজেন্দ্রর সতীর্থ বক্সার রাম সিং পুলিসি জেরায় জানিয়েছেন তাঁরা দুজন অ্যাডভেঞ্চার করার জন্য ড্রাগ নিয়েছিলেন। সে ব্যাপারেও প্রশ্নের মুখে পড়েন অলিম্পিক পদকজয়ী এই বক্সার। এদিকে ক্রীড়ামন্ত্রী জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন,ড্রাগ পাচার বিতর্কে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বিজেন্দর সিংকে।
পুলিসি জেরার মুখে পড়ে ঘাবড়ে গেলেন অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিং। জেরার মুখে বিজেন্দর মোটেই স্বচ্ছন্দে ছিলেন না বলে জানান এক পুলিস কর্মী। ড্রাগ-পাচার বিতর্কে অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পঞ্জাব পুলিস। সোমবার তদন্তকারী দলের দুই সদস্য জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতের চ্যাম্পিয়ন এই বক্সারকে। ড্রাগ পাচার বিতর্কে মূল অভিযুক্ত অনুপ সিংয়ের সঙ্গে বিজেন্দরের সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে। বিজেন্দ্রর সতীর্থ বক্সার রাম সিং পুলিসি জেরায় জানিয়েছেন তাঁরা দুজন অ্যাডভেঞ্চার করার জন্য ড্রাগ নিয়েছিলেন। সে ব্যাপারেও প্রশ্নের মুখে পড়েন অলিম্পিক পদকজয়ী এই বক্সার। এদিকে ক্রীড়ামন্ত্রী জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন,ড্রাগ পাচার বিতর্কে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বিজেন্দর সিংকে। ড্রাগ পাচার বিতর্কে বিজেন্দরের নাম ওঠার পর থেকেই জল্পনা চলছিল।তাঁর নাম জড়ালেও বড়সড় শাস্তির মুখে পড়ার সম্ভাবনা অবশ্য কম অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের।
নারকোটিক্স ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবসট্যান্সেস অ্যাক্ট অনুযায়ী, বেশিমাত্রায় ড্রাগ কারোও কাছ থেকে উদ্ধার হলে কিংবা ওই ড্রাগ পাচার করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লে তবেই ওই ব্যক্তি শাস্তির কোপে পড়েন। বিজেন্দরের ক্ষেত্রে, তাঁর কাছ থেকে কোনও ড্রাগ মেলেনি। ড্রাগ পাচার চক্রে তাঁর জড়িত থাকার কোনও প্রমাণও এখনও পাওয়া যায়নি। জিকারপুর এলাকার যে বাড়ি থেকে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে বিজেন্দর সিংয়ের স্ত্রীয়ের গাড়ি পাওয়া গেলেও তাতে হেরোইন ছিল না। যদিও বিজেন্দরের বন্ধু এবং আরেক বক্সার রাম সিং তাঁদের দুজনের ড্রাগ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে একথার সত্যতা প্রমাণ করতে হলে ড্রাগ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের রক্তপরীক্ষা করাতে হত।
রাম সিংয়ের বয়ান অনুযায়ীই, তাঁরা নিয়মিত ড্রাগ নিতেন না এবং শেষবার তাঁরা মাদক নিয়েছিলেন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ। ফলে এখন তাঁদের রক্ত পরীক্ষায় ড্রাগের কোনও নমুনা মেলার সম্ভাবনা নেই। তবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে খবর, যদি তদন্তে একথা প্রমাণ হয়ে যায় যে জেনেশুনে নিজের গাড়িতে বিজেন্দর ড্রাগ পাচার করতে দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে দশ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে ভারতের এই তারকা বক্সারের।