Laxmi Ratan Shukla: বাংলার সুদীপ-আকাশের প্রতি বঞ্চনা, হতাশ হয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন লক্ষ্মী রতন শুক্লা
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে এভাবে একাধিকবার ব্রাত্য হয়েছিলেন লক্ষ্মী। ২০১২ সালে বিজয় হাজারে ট্রফি নিজের দমে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে মুম্বইকে ফাইনালে হারিয়েছিলেন। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৯০ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন লক্ষ্মী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সময় বদলে গিয়েছে। তবে মানসিকতার বদল ঘটেনি। ভারতীয় ক্রিকেটে (Indian Cricket) বাংলার (Bengal) প্রতি অবিচারের উপাখ্যান এখনও বজায় রয়েছে। আর তাই হতাশ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাংলার হেড কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। জাতীয় নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুলে তাঁর হতাশা প্রকাশের কারণ হল, চলতি ইরানি ট্রফির ফাইনালে (Irani Trophy Final) অবশিষ্ট ভারতের প্রথম একাদশে (Rest Of India) জায়গা পাননি সুদীপ ঘরামি (Sudip Kumar Gharami) ও আকাশ দীপ (Akash Deep)। সেটাই মেনে নিতে পারছেন না বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান কোচ।
বুধবার অর্থাৎ ১ মার্চ থেকে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ইরানি ট্রফির খেলা। প্রথম একাদশে অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) ও মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar) সুযোগ পেলেও, সুদীপ ও আকাশকে রাখা হয়নি। সেই জায়গায় সৌরভ কুমার, উপেদ্র যাদব, যশ ধুল ও বাবা অপরাজিতকে প্রথম একাদশে জায়গা দেওয়া হয়েছে। অথচ সদ্য সমাপ্ত রঞ্জি ট্রফিতে বাংলাকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সুদীপ। ১০ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৮০৩ রান। সঙ্গে ছিল ৩টি শতরান ও ৫টি অর্ধ শতরান। অথচ এহেন সুদীপকে দলেই রাখা হল না।
আরও পড়ুন: Ravindra Jadeja, BGT 2023: জাদেজার কাণ্ডে রেগে গেলেন সুনীল গাভাসকর! কিন্তু কেন? জানতে পড়ুন
আরও পড়ুন: Rishabh Pant Injury Update: কোন কাজ করে আনন্দ পাচ্ছেন সুস্থ হয়ে ওঠা ঋষভ পন্থ? জানতে পড়ুন
অন্যদিকে আকাশও বঞ্চনার শিকার হলেন। গত রঞ্জি মরসুমে ১০ ম্যাচে ৪১টি উইকেট নিয়েছিলেন বঙ্গ পেসার। এরমধ্যে তিনবার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে তিনটি ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন। এহেন আকাশ বড় মঞ্চে ব্রাত্য থেকে গেলেন। তাঁর জায়গায় খেলছেন নভদীপ সাইনি। দিল্লির এই জোরে বোলার এবার একটিও ম্যাচ খেলেননি। তবুও ইরানি ট্রফির ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন নভদীপ।
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে এভাবে একাধিকবার ব্রাত্য হয়েছিলেন লক্ষ্মী। ২০১২ সালে বিজয় হাজারে ট্রফি নিজের দমে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে মুম্বইকে ফাইনালে হারিয়েছিলেন। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৯০ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন লক্ষ্মী। সেই বছর বিসিসিআই থেকে সেরা অলরাউন্ডার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তবুও তাঁর জন্য ফের একবার জাতীয় দলের দরজা খোলেনি। আর এবার সেই ব্রাত্যদের তালিকায় নাম লেখালেন সুদীপ ও আকাশ।