Sourav Ganguly : সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়ের পর কী বললেন বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
Sourav Ganguly : সামনেই যে আইসিসি-র চেয়ারম্যানের পদও ফাঁকা হচ্ছে। সৌরভকে সেই চেয়ারে বসার ব্যাপারে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সব জল্পনার অবসান। শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই-এর (BCCI) সভাপতি পদে থেকে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। একইসঙ্গে সচিব হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন জয় শাহ (Jay Shah)। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এমনই যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করল। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে থাকতে পারবেন মহারাজ। যদিও এখনই এই ইস্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর সামনে আইসিসি-র চেয়ারম্যান (ICC Chairman) পদে বসার হাতছানি রয়েছে। তাই কি সৌরভ এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না!
এ দিন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় এই ঘোষণা হওয়ার পর ইডেন গার্ডেন্সে চলে যান বিসিসিআই সভাপতি। সেখানে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌরভ বলেন, 'এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এটা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। সুপ্রিম কোর্টের যেটা ভাল মনে হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার মন্তব্য করা উচিত নয়।'
বুধবার দুপুর দু'টো থেকে বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সংস্থায় ছ’বছর এবং বোর্ডে ছ’বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন এক জন আধিকারিক। অর্থাৎ ১২ বছর দায়িত্ব সামলানোর পর 'কুলিং অফ'-এ যেতে হবে তাঁকে। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব পদে জয় শাহ আসেন ২০১৩ সালে। বিসিসিআই-এ আসার আগে পর্যন্ত তিনি সেই অ্যাসোসিয়েশনেই ছিলেন। সৌরভও সিএবিতে প্রথমে সচিব, পরে সভাপতি হিসেবে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন। ২০১৯ সালে বোর্ড নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। লোধা কমিশনের আইন মানতে হলে সৌরভ-শাহদের এতদিনে পদ ছেড়ে দিতে হত। তবে এ দিন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে ছ’বছর থাকতে পারবেন তিনি। অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত বোর্ডের দায়িত্বে থাকতে পারবেন 'প্রিন্স অফ ক্যালকাটা'। সঙ্গে সচিব হিসেবে কাজ করে যেতে পারবেন জয় শাহ।
আইনগত ভাবে সৌরভের ফের এক বার বোর্ড প্রধান হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা রইল না। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল মহারাজ কি আদৌ বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি পদে দাঁড়াতে চাইবেন? কারণ সামনেই যে আইসিসি-র চেয়ারম্যানের পদও ফাঁকা হচ্ছে। সৌরভকে সেই চেয়ারে বসার ব্যাপারে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে। এ দিকে আগামী অক্টোবরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচন। সেখানেই প্রশ্ন উঠছে, সৌরভ কি আদৌ সেই নির্বাচনে দাঁড়াবেন?
সৌরভ যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে আরও তিন বছর থেকে যান, তাহলে জয়কে আগামী তিন বছর সচিব হয়েই থাকতে হবে। তাঁর ক্ষমতায় থাকার ছ’বছরের মেয়াদ (২০১৯ থেকে ২০২৫) সচিব হিসাবেই কেটে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত সৌরভ বোর্ডের মসনদে থাকলে জয় শাহ ২০২৮ সালের আগে সভাপতি হতে পারবেন না। জয় কি সেটা মানবেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে ছ’বছর অপেক্ষা করবেন?
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার চেয়ারম্যানের পদটি নভেম্বরে খালি হচ্ছে। শেষ হয়ে যাচ্ছে গ্রেগ বার্কলের মেয়াদ। এ বার ভারত থেকেই কারও চেয়ারম্যান হওয়ার কথা। জয় যদি অক্টোবরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়ে যান, তা হলে সৌরভ কি আইসিসি-র চেয়ারম্যান হবেন? সেটাই এখন দেখার বিষয়।