একের পর এক মোবাইল চুরি! বাংলাদেশি ক্রিকেটারের বিয়েতে হাজির পুলিস, ধুন্ধুমার কাণ্ড
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, চুরি যাওয়া মোবাইলের নম্বরে কল করলে একজনের পকেটে সেটি বেজে ওঠে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : টানা সাতটি মোবাইল চুরি হয়েছে বিয়ের আসর থেকে। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সৌম্য সরকারের বিয়েতে ধুন্ধুমার কাণ্ড। বাংলাদেশের অভিজাত খুলনা ক্লাবে বিয়ের আসর বসেছিল সৌম্যর। কিন্তু সৌম্যর বিয়ের অনুষ্ঠান ভেস্তে যায় চোরদের উত্পাতে। রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বিয়ের আসরে। মুহূর্তের মধ্যে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত হয়। পরিস্থিতি এতটাই বেসামাল হয়ে পড়ে যে শেষমেশ সৌম্যর বাড়ির লোক পুলিসে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিসে আসার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। সৌম্যর বাড়ির লোককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকার, বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র ও সৌম্যর আরেক বন্ধুসহ একাধিক আত্মীয়ের মোট সাতটি মোবাইল চুরি হয় বিয়ের আসর থেকে। সৌম্যর মেজো ভাই প্রনব সরকার খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের মোবাইল চুরির বিষয়ে জানান। ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী সেই সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সৌম্য তখন সাত পাকে ঘোরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু ঝামেলার জন্য প্রায় আধ ঘণ্টা পিছিয়ে যায় বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান। সৌম্যর বাড়ির লোকজন দাবি করেছেন, তাঁরা চোরদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন। আর সেই জন্যই খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন- ক্রিকেট ছেড়ে চাষবাস করছেন ধোনি! নিজের জমিতে ফলাচ্ছেন পেপে, তরমুজ
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, চুরি যাওয়া মোবাইলের নম্বরে কল করলে একজনের পকেটে সেটি বেজে ওঠে। তখন সেই চোরের কাছ থেকে আরও পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাঁকে হাতেনাতে ধরার পরই অশান্তি শুরু হয়। খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল বেধে যায়। যদিও খুলনা থানার ওসি বলেছেন, ঝামেলা হলেও হাতাহাতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন সৌম্য। বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল জমকালো। কিন্তু অযাচিত ঝামেলা যেন সব আনন্দ মাটি করে দিয়েছে।