বানভাসি কেরলে নিখোঁজ পরিবার, এশিয়ান গেমসে সাঁতারে রেকর্ড সজনের!

কেরলের প্রত্যন্ত গ্রাম ইড্ডুকিতে ভেসে গেছে তাঁর মামার বাড়ি। পরিবারের বেশ কয়েকজনের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না তিন দিন ধরে।    

Updated By: Aug 20, 2018, 07:37 PM IST
বানভাসি কেরলে নিখোঁজ পরিবার, এশিয়ান গেমসে সাঁতারে রেকর্ড সজনের!

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩২ বছর পর এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার বাটারফ্লাই সাঁতারে রেকর্ড গড়েছেন কেরলের ২৪ বছরের তরুণ সজন প্রকাশ। ফাইনালে পঞ্চম স্থানে শেষ করায় কোনও মেডেল পাননি ঠিকই, তবে ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে ২০০ মিটার সাঁতরে জাতীয় রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তিনি। রবিবার ইন্দোনেশিয়ার জিবিকে অ্যাকোয়াটিক সেন্টারে যখন সাঁতার কাটছেন সজন, তখন কেরলের প্রত্যন্ত গ্রাম ইড্ডুকিতে ভেসে গেছে তাঁর মামার বাড়ি। পরিবারের বেশ কয়েকজনের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না তিন দিন ধরে।    

আরও পড়ুন - এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে ইতিহাসে 'দঙ্গল গার্ল' ভিনেশ ফোগত

পুদুচেরিতে মায়ের সঙ্গে থাকেন সজন প্রকাশ। তাঁর মা জানিয়েছেন, "বন্যায় আমরা বাড়ি-জমি সব হারিয়েছি। বৃহস্পতিবারের পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আশা করি তাঁরা নিরাপদেই কোথাও আছেন।" তবে সজনকে এসব কথা জানাননি তাঁর মা। তিনি জানান, "ছেলেকে আমি কিছুই জানায়নি। কিন্তু ওখানে (ইন্দোনেশিয়া) কেউ ওকে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছে। শনিবার রাতে আমার কাছে জোর করেই সব কিছু জানতে চাইছিল। বোধ হয় সেই কারণেই ঠিকমতো মনসংযোগ করতে পারেনি।" এই একই আক্ষেপ সজনের কোচ নিশা মিলেটেরও।

আরও পড়ুন - এশিয়ান গেমসে যৌন কেলেঙ্কারি! চার অ্যাথলিটকে দেশে ফেরত পাঠাল জাপান

ইন্দোনেশিয়ায় ভারতীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকেই কেরলের বানভাসি পরিস্থিতির খবর পান সজন প্রকাশ। তারপরেই তিনি জানান, "আমার মা তামিলনাডুতে রয়েছেন। কিন্তু আমার মামার বাড়ি ভেসে গিয়েছে। ইড্ডুকির চেরুথনি ড্যাম লাগোয়া মামার বাড়ির কোনও অস্তিত্ব নেই এই মুহূর্তে। দাদু, মামা ও পরিবারের বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। কোনওভাবে ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।"

আরও পড়ুন - ফেডেক্সকে হারিয়ে ইতিহাসে জোকার!

২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের ফাইনালে উঠেও পদক হাতছাড়া হয়েছে, বুধবার ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে নামবেন সজন প্রকাশ। তাঁর মায়ের আশা, ছেলে পদক জিতবেই। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। আর ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে রূপো জিতেছিলেন ভারতের খাজান সিং। ৩২ বছর পর একই ইভেন্টের ফাইনালে উঠেও পদক জিততে না পারায় হতাশ সজন।  

.