ধোনি কো গুস্সা কিউ আতা হ্যায়!

খবরটা ভুল না ঠিক তা নিয়ে জল্পনা চলতেই পারে। কিন্তু কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মুডটা ইদানিং বেশ খারাপ। তার থেকেও বড় কথা ভারতের নেতার মাথা এখন নাকি সবসময় গরম থাকছে। তা না হলে মোতেরায় এত সুন্দর একটা জয়ের পরও পিচ নিয়ে এমন বেফাঁস মন্তব্য করতেন না ধোনি। হঠাত্‍ই কাল ম্যাচের পর ধোনি বলে বসেন, মোতেরার মতো উইকেটের দিকে আর ফিরেও তাকাতে চান না একটা সময় যে ঠান্ডা মাথার জন্য ধোনির নাম হয়েছিল ক্যাপ্টেন কুল, সেই মিস্টার কুলের মাথা এখন বড্ড হট।

Updated By: Nov 20, 2012, 10:30 PM IST

পার্থ প্রতিম চন্দ্র
খবরটা ভুল না ঠিক তা নিয়ে জল্পনা চলতেই পারে। কিন্তু কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মুডটা ইদানিং বেশ খারাপ। তার থেকেও বড় কথা ভারতের নেতার মাথা এখন নাকি সবসময় গরম থাকছে। তা না হলে মোতেরায় এত সুন্দর একটা জয়ের পরও পিচ নিয়ে এমন বেফাঁস মন্তব্য করতেন না ধোনি। হঠাত্‍ই কাল ম্যাচের পর ধোনি বলে বসেন, মোতেরার মতো উইকেটের দিকে আর ফিরেও তাকাতে চান না একটা সময় যে ঠান্ডা মাথার জন্য ধোনির নাম হয়েছিল ক্যাপ্টেন কুল, সেই মিস্টার কুলের মাথা এখন বড্ড হট। এখন নাকি ধোনি যাই বলা হয় তিনি রেগে সেই কথার উত্তর দেন। এমন বেশ কিছু নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন যা দেড় বছর আগের মাহি করতেন না। এই যেমন তাঁর কথায় প্রথম বল থেকে উইকেটে বল ঘুরবে সেটাই তিনি দেখতে চান। আর ধোনির এ হেন বাক্যবাণে অবাক ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। বিশ্বের সব অধিনায়কই তো চান তাঁর পছন্দের পিচে খেলতে। স্বয়ং ডন ব্র্যাডম্যানই কি চাইতেন অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাটিতে তাঁর দলকে ঘূর্ণি পিচে খেলতে হোক? কিন্তু প্রথম দিন থেকেই বল লাট্টুর মত ঘুরবে এমন আশা করা তো ভিখারির কাছে টাটা-বিড়লার বৈভব আশা করা। সে যাই হোক ব্যাপার হল ধোনি এখন বড় রেগে আছে।
কিন্তু ধোনি কো গুসসা কিউ আতা হ্যায় এর উত্তরে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। সে কারণগুলোর উত্তর একটু পয়েন্টের আকারে সাজিয়ে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা।
এভারেস্ট থেকে মাটিতে ফিরে ফের ওঠার চেষ্টা-- সাফল্যের এভারেস্ট উঠলে নীচের সব কিছুই ছোট লাগে। আবার সেই পর্বত থেকে নীচে নেমে এসে আবার নতুন করে উঁচুতে উঠতে চাইলে এক ধরনের ঔদ্ধত্য তৈরি হয়। সেই থেকে গুসসা আসাটা খুব স্বাভাবিক। বিশ্বকাপ জিতে ধোনি সাফল্যের এভারেস্টে উঠেছিলেন, গত বছর ইংল্যান্ড সফরে সব কটা ম্যাচ হেরে আবার বাস্তবের রুক্ষ জমিতে ফিরে এসেছিলেন মাহি। এবার ইংল্যান্ড সফরটা ধোনিকে আবার একটা নতুন সাফল্যের পাহাড়ে তুলে দিতে পারে। সেই পাহাড়ে উঠতে ধোনি এতটাই মরিয়া যে মেজাজটা ঠিক ধরে রুখতে পারছেন না।
হানিমুন পিরিয়ড শেষ: আসলে ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির হানিমুন পিরিয়ডটা শেষ হওয়ার পর এখন এমন একটা জায়গায় সময় যাচ্ছে ধোনির, যেখানে ফের ব্যর্থতা আসা মানে একেবারে তলিয়ে যাওয়া। মানুষ যখন ভেসে যায়, মরিয়া হয়ে সে খড়কুটোকে জড়িয়ে ধরতে চায়। ধোনি কাছে সেই খড়কুটোটা হল পিচ।
ব্যাটিং বেশ খারাপ: ভাল সময় অনেক কিছু খারাপকে ঢেকে দেয়। আবার খারাপ সময় অনেক কিছু আড়ালে চলে ব্যর্থতাকে সামনে নিয়ে আসে। ওয়ানডে`তে যাই হোক
টেস্টে ব্যাটিং রেকর্ড কিন্তু বেশ খারাপ চলছে ধোনির। এতদিন সেভাবে কেউ আঙুল তোলেন নি। কিন্তু গত বছর ইংল্যান্ড সফরে ০-৪ হারের ধাক্কাটার পর সবাই ধোনির ব্যাটিংকে আঁতসকাঁচের তলায় ফেলছেন। আর তাতে ধরা পড়ছে বল একটু সুইং খেবে ধোনি কেমন নেতিয়ে যান। মোতেরাতেও রান পাননি। তাই চাপটা বাড়ছে। আর চাপ বাড়লে গুসসা বাড়ে এটা তো স্বাভাবিক।
উইকেটকিপিং নিয়েও অভিযোগ: টেস্টে উইকেটকিপিং বরাবরই একটু উঁচুমানের হতে হয়। ধোনি ভাল ক্যাপ্টেন হতে পারেন , কিন্তু তিনি কোনও দিনই দারুণ উইকেটকিপার নন সে কথাটা সবাই জানেন। কিন্তু ভাল অধিনায়ক, আর দারুণ ব্যাটসম্যান হয়ে ওই দিকটা দিব্যি ম্যানেজ করে দিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই দুটো দিক নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই উইকেটকিপিংয়ের গলতিগুলোও চোখে পড়ছে। আর কে না জানে ভাল উইকেটকিপার দেশে অনেক আছে। বাংলার ঋদ্ধিমানও রিজার্ভ বেঞ্চে বসে।
সাফল্যের নতুন মানে খুঁজে না পাওয়া-- সাফল্য এমন একটা জিনিস যে না পেলে মানুষ নিজেকে উজাড় করে দেয়, কিন্তু একবার তা পেয়ে গেলে বেশিরভাগই ঠিক করতে পারেন না এবার কি হবে। মাহিরও তাই হয়েছে। সাফল্য পেয়ে নতুন সাফল্যের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছেন না। মানে ঠাকে বলে দিশেহারা। আর দিশেহারা মানুষদের গুসসা তো হতেই পারে।
(এই প্রতিবদেনটা অনেকের ধারণার ওপর তৈরি, প্রতিষ্ঠিত সত্যি নয়, তাই প্রতিবেদনটাকে প্লিজ সিরিয়াসলি নেবেন না)

.