ম্যাচ ফিক্সড! চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্রে ফের উঠে এল ক্রিকেটের কালো দিক
ক্রিকেটের গভর্নিং বডি চাপে পড়ে শেষমেশ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ক্রিকেটের আকাশে ফের ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া। আল জাজিরা টিভির এক তথ্যচিত্রে আরও একবার উঠে এল জনপ্রিয় খেলার অন্ধকার দিক।
রবিবার সকাল দশটায় সেই তথ্যচিত্র প্রকাশ করবে আল জাজিরা। তারই টিজার আল জাজিরা প্রকাশ করেছে শনিবার। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রবিন মরিস নামের এক ম্যাচ ফিক্সার স্টিং অপারেশনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করছেন। রবিন মরিস মুম্বইয়ের বাসিন্দা। ভিডিওয় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তিতে তিনি দাবি করেছেন, গত বছর জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার গলে অনুষ্ঠিত ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচে ফিক্সিং হয়েছিল। ৩০৪ রানে সেই ম্যাচ জেতে ভারত। লুকনো ক্যামেরার সামনে মরিস স্বীকার করেছেন, সেই ম্যাচের আগে তারা কিউরেটরকে পছন্দমতো উইকেট তৈরির বরাত দিয়েছিলেন। আল জাজিরার এমন দাবিতে নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি। ক্রিকেটের গভর্নিং বডি চাপে পড়ে শেষমেশ এই ব্যাপারে তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'ভাই' এবিডি'কে বিদায় বার্তা বিরাটের
মোট দুটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন মরিস। ২০১৬ আগস্টে আয়োজিত শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচও রয়েছে তালিকায়। মরিস আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষে গলে অনুষ্ঠিত হতে চলা শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। আল জাজিরার দাবি, তাদের হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে দিয়েছেন মরিস। যেমন- মরিসের দাবি, তাদের ইচ্ছেমতো তারা উইকেট তৈরি করে নিতে পারে। এক্ষেত্রে শুধু কিউরেটরের কাছে নির্ধারিত অর্থ পৌঁছে দিতে পারলেই কাজ হাসিল।
আরও পড়ুন- রশিদকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন শচীন তেণ্ডুলকর
মরিস আরও জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের জেতা ম্যাচ থেকে তাদের রেকর্ড অঙ্কের মুনাফা হয়েছে। ২০১৭ ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে গলের কিউরেটর ছিলেন থরঙ্গা ইন্ডিকা। ভিডিওতে তাঁকেও বলতে শোনা যাচ্ছে, টেস্ট ম্যাচ কতদিন গড়াবে সেটাও অনেক সময় তাদের উপর নির্ভর করে। কিউরেটর চাইলে ফিক্স হওয়া ম্যাচ আড়াই বা চার দিনে শেষ হয়ে যেতে পারে। পুরোটাই পিচ প্রস্তুতকারকের কারসাজি বলে দাবি তার।
আরও পড়ুন- নন্দন কাননে আফগান কাব্য লিখে বিস্ফোরণে নিহতদের পুরস্কার উত্সর্গ রশিদ খানের
ভিডিওতে মরিস নিজেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার বলে দাবি করেছেন। আল জাজিরা এই তথ্যচিত্রের নাম দিয়েছে- 'ক্রিকেটস ম্যাচ ফিক্সারস'। এমন বিস্ফোরক স্টিং অপারেশনের পর স্বাভাবিকভাবেই আইসিসি দুর্নীতিদমন শাখার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।