সারদা ছোবলের বিষ সামলাতে নাভিশ্বাস ময়দানের

চিটফান্ডের প্রভাব ময়দানের পরার আগে নিজেদের ক্ষমতায় স্পনসর এনে দল চালাত ময়দানের ২০০টিরও বেশি ক্লাব।  স্পনসর পেতে সফল না হলে অনেক ক্লাবের কর্তা নিজেদের খরচেই দল চালাতেন। এই ছিল ময়দানের ইতিহাস। এই পথ চলার  ছন্দপতন ঘটল ঠিক কয়েক বছর আগে।

Updated By: Nov 24, 2014, 11:52 PM IST
সারদা ছোবলের বিষ সামলাতে নাভিশ্বাস ময়দানের

ব্যুরো: চিটফান্ডের প্রভাব ময়দানের পরার আগে নিজেদের ক্ষমতায় স্পনসর এনে দল চালাত ময়দানের ২০০টিরও বেশি ক্লাব।  স্পনসর পেতে সফল না হলে অনেক ক্লাবের কর্তা নিজেদের খরচেই দল চালাতেন। এই ছিল ময়দানের ইতিহাস। এই পথ চলার  ছন্দপতন ঘটল ঠিক কয়েক বছর আগে।

খেলার মাঠে সারদা গ্রুপের প্রবেশ। ২০০৮ সালে ময়দানের পরিচিত কালীঘাট ক্লাবকে প্রথমবার স্পনসর করে সারদা গ্রুপ। এরপরই ময়দানের তথাকথিত ছোট  ক্লাব ছেড়ে ছেড়ে বড় আঙিনায় প্রবেশ সারদার।

২০০৯ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি হয় সারদা। প্রধান স্পনসর হিসেবে ইউবি গ্রুপ থাকলেও কো-স্পনসর হিসেবে সারদার সঙ্গে মোটা টাকার চুক্তি করেন লালহলুদ কর্তারা।

২০১০ সাল থেকে মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে দুবছরের চুক্তি হয় এই সারদা গ্রুপের। ততদিনে ময়দান  সারদাময়। অর্থের দিক থেকে একছত্র আধিপত্য এই চিটফান্ডটি। দুই প্রধানের পাশাপাশিভবানীপুরেরও স্পনসর হয়ে যায় এই সারদা।

২০১১ সালে প্রয়াগ গ্রুপকে স্পনসর হিসেবে পায় ইউনাইটেড স্পোর্টস। পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইউনাইটেডকে  প্রতিবছর ছকোটি টাকার দেওয়ার কথা ছিল প্রয়াগকে। এই গ্রুপকে স্পনসর হিসেবে পেয়ে সাড়া ফেলে দেয় ইউনাইটেড।

বিগ বাজেটের দল গড়ে দুই প্রধানকে বারবার হারায় প্রয়াগ ইউনাইটেড। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটা চিটফান্ড সংস্থা ময়দানের ছোট ক্লাবগুলো স্পনসর করতে এগিয়ে আসে। গত বছর সারদা কেলেঙ্কারি ফাঁস হতেই অন্ধকার নেমে আসে ময়দানে। ছোট ক্লাবগুলোর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে দুই প্রধানও।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ইউনাইটেড স্পোর্টস। আই লিগের মাঝে স্পনসর হাতছাড়া হয়ে যাওয়াতে  মরশুমের মাঝে অভিভাবকহীন হয়ে পরে ইউনাইটেড।  অধিকাংশ টুর্নামেন্টেই দল নামাতে ব্যর্থ হয় তারা। সারদা কাণ্ডের জেরে চরম সমস্যার মুকে পরে ময়দানের দুই প্রধান। তাদের অ্যাকাউন্ট সিজ ও শীর্ষ কর্তারা গ্রেফতার। সব মিলিয়ে দিশেহারা অবস্থায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল।

 

.