৯০০ টাকায় এক ঠোঙা ঝালমুড়ি! ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে হিট 'ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস'
লন্ডন স্ট্রিট ফুডি জানিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন মিস্টার অ্যাঙ্গাস ডেনন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এক ঠোঙা ঝালমুড়ি। দাম ১০ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯০০ টাকা। তাতে কী! লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন সেই ঝালমুড়ি খেতে। লাইন পড়ে যাচ্ছে। মিস্টার অ্যাঙ্গাস লোক খাইয়ে শেষ করতে পারছেন না। হাসিমুখে একের পর এক খদ্দেরকে খাওয়াচ্ছেন তিনি। বিক্রেতা ব্রিটিশ। পোশাক পরিচ্ছদ সাহেবি। কোট-প্যান্ট ও মাথায় একখানা চেক টুপি পরে তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন। ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে। বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের কাছে মিস্টার অ্যাঙ্গাস যেন আলাদা এক আকর্ষণ হয়ে উঠেছিলেন।
আরও পড়ুন- ICC World Cup 2019: এবি আমাকে ফোন করেছিল, কিন্তু তখন দেরি হয়ে গিয়েছিল: ফাফ দু প্লেসি
লন্ডন স্ট্রিট ফুডি জানিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন মিস্টার অ্যাঙ্গাস ডেনন। তিনি পেশায় রাঁধুনি। বাঙালি খাবার-দাবারের স্বাদ-গন্ধে তিনি মোহিত হয়েছিলেন। এই শহর থেকে ফিরে তিনি ঝালমুড়ির স্টল দেন। তবে তাঁর স্টল-এর নাকি কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই। কখনও এখানে, তো কখনও ওখানে! এই যেমন পৌঁছে গিয়েছিলেন ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে। তাঁর স্টল-এর স্থাযী ঠিকানা নেই ঠিকই। তবে তাঁর স্টল ঘিরে ভিড় কিন্তু স্থায়ী। মিস্টার অ্যাঙ্গাস-এর ঝালমুড়ি মাখা খেতে হাসিমুখে লাইন দেন সাহেব-মেমসাহেবরা। হাসিমুখে ভিড় সামলান মিস্টার অ্যাঙ্গাস।
At Oval yesterday during India v/s Australia Cricket Match.
भेल ले लो भाई...
Please watch it. Enjoy!!!!@SrBachchan Ji. pic.twitter.com/KvgKbo46pR
— Jasmine Jani EF (@JaniJasmine) June 11, 2019
মিস্টার অ্যাঙ্গাস-এর ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস এখন জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৌজন্যে তাঁর ঝালমুড়ি বিক্রির একটি ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে। দেখে মনে হবে, কোনও গ্রামের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন তিনি। শশা, পেঁয়াজ কাটা রয়েছে একটি পাত্রে। প্লাসটিকের মগে রাখা জিনিসপত্র। টক জল দিচ্ছেন মুড়িতে। সঙ্গে মশলা। কাগজ মুড়িয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন ঠোঙা। তার পর মুড়ি মেখে হাতা দিয়ে তুলে দিচ্ছেন সেই ঠোঙায়। হাসতে হাসতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ঝালমুড়ি। ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে তিনি যতক্ষণ ছিলেন, ভিড় জমে ছিল তাঁর স্টল-এর বাইরে। কেউ কেউ তো আবার মজা করে লিখলেন, ''ওনাকে কখন, কোথায় পাওয়া যাবে কেউ বলতে পারে না। সব থেকে ভাল হয়, টুইটার বা ফেসবুক দেখে ওনার অবস্থান জেনে নেওয়া।'' বুঝতে পারছেন তো, ঝালমুড়িওয়ালার চাহিদা!