বাইশ গজের অগ্নি পরীক্ষায় উওপ্ত ইডেন
কাল ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের শুরু। টেস্ট শুরুর আগের দিনেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সেই ইডেনের ২২ গজ। সচিনের সাম্প্রতিক ফর্ম, বীরুর সঙ্গে ধোনির বিরোধ, মাহীর ফ্লপ অধিনায়কত্ব,ওয়াংখেড়ের শোচনীয় পরাজয়কে সাইডলাইনে পাঠিয়ে সবার চোখ এখন শুধুই ইডেনের পিচের দিকে। বিসিসিআই-প্রবীর দ্বন্দ্বকে ইতিমধ্যেই অন্যমাত্রা দিয়েছে ডালমিয়ার ময়দানে অবতরণ।
কাল ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের শুরু। টেস্ট শুরুর আগের দিনেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সেই ইডেনের ২২ গজ। সচিনের সাম্প্রতিক ফর্ম, বীরুর সঙ্গে ধোনির বিরোধ, মাহীর ফ্লপ অধিনায়কত্ব,ওয়াংখেড়ের শোচনীয় পরাজয়কে সাইডলাইনে পাঠিয়ে সবার চোখ এখন শুধুই ইডেনের পিচের দিকে। বিসিসিআই-প্রবীর দ্বন্দ্বকে ইতিমধ্যেই অন্যমাত্রা দিয়েছে ডালমিয়ার ময়দানে অবতরণ। কেমন হবে পিচের চরিত্র, তা নিয়ে জোর জল্পনা তাই শুধু আর সীমাবদ্ধ নেই দুই শিবিরে। ইংল্যান্ডকে চাপে রাখতে ভারতের পুরনো ফর্মূলা মেনে ঘূর্ণি পিচের আব্দার করেছিলেন ধোনি। সেই নিয়ে মোটামুটি এক পৃথিবী ঘটনা ঘটে গেছে। গতকাল কিন্তু ইডেনের পিচ দেখে দলের ক্যাপ্টেনের সঙ্গেই গলা মিলিয়েছেন সচিনও। দাবি জানিয়েছেন ঘাস ছেঁটে ফেলার। ভারতের মাটিতে সচিনের ইচ্ছাপূরণ না করার মত দুঃসাহস এখনও পর্যন্ত কারও নেই। তাই ইডেনের ২২ গজ এখন অনেকটাই ঘাস শূন্য। ওঝা, অশ্বিনদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ঘাস ছাঁটা পিচে বেশ কয়েকবার রোলারও চালানো হয়েছে। এর সঙ্গে আজকেই সাংবাদিক সম্মেলনে স্পিনিং পিচের হয়ে সওয়াল করলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন দেশের মাঠে ঘূর্ণি পিচের অ্যাডভানটেজ তাঁরা নেবেনই।
বাইশ গজের পরেই যিনি মোটামুটি আলোচনার বিষয়ে এখন দ্বিতীয় স্থানাধিকারী তাঁর নাম সচিন রমেশ তেন্ডুলকার। ক্রিকেটের মক্কায় ফর্ম ফিরে পেতে মরিয়া মাস্টার-ব্লাসটার। সব সমালোচনার উত্তর যে শুধু মাত্র তাঁর ব্যাটেই লুকিয়ে আছে সেটা মোক্ষম জানেন তিনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্রিকেটিয় কেরিয়ারে কখনই এত নির্মম সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। গাভাসকারের মত স্বঘোষিত সচিন প্রেমীরাও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর ফর্ম নিয়ে। সচিনের বানপ্রস্থ যাওয়ার সময় নিয়ে এখন গবেষণা চলছে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকান থেকে ভিড় অফিস বাসে। ধোবি ঘাট থেকে ভীষণ গম্ভীর বোর্ড মিটিং-এর ফাঁকে। তবে সমালোচনার মাঝেই সচিনের পাশে এসে দাঁড়ালেন তাঁর প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। সচিনের ফর্ম নিয়ে চিন্তায় থাকলেও তাঁর অবসরের কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছেন মহারাজ। নিজের শহরে প্রিয় ছোটবাবুকে সেঞ্চুরির আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলেন তিনি।
পরীক্ষা কিন্তু ধোনিরও। বোর্ড প্রেসিডেন্টের চোখের মণি হওয়ায় এখনও তিনি বহালতবিয়তে। কিন্তু তাঁর অধিনায়কত্বও বেশ কয়েকদিন ধরেই মাইক্রোস্কোপের তলায়। শুধু ব্যাটিং নয়, উইকেটের পিছনেও তাঁর প্যারফর্মেন্স গত কয়েকটি সিরিজে বেশ খারাপ। ওয়াংখেড়ে ভরাডুবির পর ইডেনেও যদি দলের পতন হয় তাহলে শ্রীনিবাসনের বদান্যতাও তাঁকে বাঁচাতে পারবে না সে কথা বিলক্ষণ জানেন `ক্যাপ্টেন কুল`। তাই দলের শক্তি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই মাঠকেও জয়ের সহায়ক করতে মরিয়া তিনি।