Travel Blog: দুর্গাপুজোর লম্বা ছুটিতে আপনিও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন Bangkok

Sep 25, 2021, 18:47 PM IST
1/6

দেশের জিডিপি-র প্রায় ২০ শতাংশ নির্ভর করে এই পর্যটনের উপর

নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোর সময় প্রচুর বাঙালি লম্বা ছুটিতে ঘুরতে যান। তবে করোনার প্রকোপে বিধিনিষেধ মেনেই ঘুরতে যান। অবসর কাটানোর অসাধারণ জায়গা এই থাইল্যান্ড। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই পর্যটন। বছরে কয়েক লক্ষ পর্যটক সে দেশে যান। দেশের জিডিপি-র প্রায় ২০ শতাংশ নির্ভর করে এই পর্যটনের উপর। করোনার কারণে দেশে পর্যটকের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে থাইল্যান্ডও পর্যটকদের জন্য এক এক করে দেশের দরজা খুলতে থাকে। এবং পর্যটকের আকর্ষণের কারণেই সেখানে শুরু হয় স্যান্ডবক্স প্রোগ্রাম।

2/6

শুধু ফুকেটই নয় থাইল্যান্ডের অন্যান্য স্থানে যেতে গেলেও কোয়ারেন্টাইনে থাকাতে হচ্ছিল পর্যটকদের

তবে যে সব পর্যটকরা করোনা প্রতিষেধকের ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন তাঁরাই শুধু এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছিলেন। ভ্যাক্সিন যাঁদের নেওয়া হয়নি বা ডোজ সম্পূর্ণ হয়নি তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকাতে হচ্ছিল। শুধু ফুকেটই নয় থাইল্যান্ডের অন্যান্য স্থানে যেতে গেলেও কোয়ারেন্টাইনে থাকাতে হচ্ছিল পর্যটকদের। পরবর্তী সময়ে সেই স্যান্ডবক্স প্রোগ্রাম ফুকেট সহ দেশের আরও পাঁচটি অঞ্চলে প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্যটন বিভাগ। সেই স্থানের আওতাতেই ঢুকেছে ব্যাংকক, শিয়াং মাই, শন বুরি, ফেচাবুরি এবং প্রাচুয়াপ খিরি খান।

3/6

পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে থাইল্যান্ড সরকার

করোনার (CORONA) ভয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। আস্তে আস্তে চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। সমস্যা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পর্যটন ব্যবসাও। আর সেই স্রোতে ভেসে পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে থাইল্যান্ড সরকার। অক্টোবর থেকে রাজধানী ব্যাংকক, শিয়াং মাই, শন বুরি, ফেচাবুরি এবং প্রাচুয়াপ খিরি খান গেলে সেখানে আর দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না পর্যটকদের। প্রায় দুই মাস হয়ে গেল ফুকেট স্যান্ডবক্স প্রোগ্রামের ঘোষণা করেছে সে দেশের পর্যটন বিভাগ।

4/6

ব্যাংকক জাতীয় জাদুঘরটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম সংগ্রহশালা

ব্যাংককে যেতে গেলে কোথায় ঘুরবেন যাবেন? ব্যাংকক শহরের মধ্যে আরেক শহর চায়না টাউন বা ইয়োওয়ারাট রোড। এখানে প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনের অঢেল আয়োজন রয়েছে। ব্যাংকক জাতীয় জাদুঘরটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম সংগ্রহশালা। ব্যাংককে গেলে একটা গোটা দিন এই সংগ্রহশালা দেখার জন্য রাখতে হয়। ব্যাংককের চাটুচাক সাপ্তাহিক বাজারটি আছে ১৫ হাজারেরও বেশি দোকান। এখানে শপিং করার আনন্দি আলাদা। খোলা আকাশের নীচে অবস্থিত ব্যাংককের চিড়িয়াৈখানার পোশাকী নাম ব্যাংকক সাফারি ওয়ার্ল্ড। এখানে ঘুরে ঘুরে পশু পাখিদের দেখতে একটা গোটা দিন লেগে যাবে। খোলা আকাশের নীচে পশু পাখিদের দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়।

5/6

ব্যাংককের একটি প্রধান আকর্ষণ হল ভাসমান বাজার

ব্যাংককের একটি প্রধান আকর্ষণ হল ভাসমান বাজার। কাঠের নৌকায় নানা ধরনের পণ্য সাজিয়ে জলের উপর কেনাবেচা চলে সেখানে। এই মার্কেটটি মিস করলে কিন্তু দারুণ ভুল হয়ে যাবে। ব্যাংকক শহরের কোলাহল থেকে কিছুক্ষণ নিরিবিলিতে থাকাতে চাইলে ঘুরে আসা যায় লুম্ফিনি পার্ক। এখানে ঘুরে বেরানো ছাড়াও কৃত্রিম হ্রদের মনোরম পরিবেশ ভালো লাগবে প্রকৃতিপ্রেমীদের।

6/6

থাইল্যান্ডের ভ্রমণের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ রাজধানী ব্যাংকক

থাইল্যান্ডের ভ্রমণের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ রাজধানী ব্যাংকক। এই শহরের আরেক নাম রঙিন নগরী। অবসর যাপনের অসাধারণ জায়গা এটি। ব্যাংকক গেলে সেখানকার গ্র্যান্ড প্যালেস দেখতে ভুলবেন না। ১৭৮২ সাল থেকে এই প্যালেস থাইল্যান্ডের রাজা ও রয়্যাল কোর্টের সরকারি ভবন। প্যালেসে নৌকায় করে যেতে হয়। নৌকা থেকেই সেখানকার অসাধারণ সৌন্দর্য্য চোখে পড়ে। ব্যাংককের ওয়াট অরুন বৌদ্ধ মন্দির বা দ্য টেম্পল অফ ডন গ্র্যান্ড প্যালেসের বিপরীতেই অবস্থিত। অপূর্ব সুন্দর স্থাপত্যের ভোরবেলার দেখতে অসাধারণ লাগে।