প্রেস্টিজ ফাইটে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের কারণ

Mar 14, 2018, 19:13 PM IST
1/11

ইশান কোণে বিজয় কেতন উড়িয়ে, ঘরের মাঠেই গোল খেল বিজেপি। মদী-অমিত শাহের অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে দিল বুয়া-ভাতিজা জুটি। সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির ভোট এক ঝুলিতে আসতেই চরম ধাক্কা খেল ভারতীয় জনতা পার্টি। ক্ষমতায় থেকে উপ-নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর লোকসভা আসনে পরাজিত হওয়ার ঘটনা ভারতে বেশ বিরল। উত্তরপ্রদশের দুই উপনির্বাচনেই জেতা আসন খোয়ালো গেরুয়া শিবির। 

2/11

যোগী আদিত্যনাথের ছেড়ে আসা লোকসভা কেন্দ্রে এবার ২১,৮৮১ ভোটে জয়ী হল সপা-বসপা জোট। গোরক্ষপুরের পাঁচ বারের সাংসদ যোগীর আসনটি এবার জিতে নিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী প্রবীণ কুমার নিশাদ। 

3/11

'উপমুখ্যমন্ত্রীর আসন' ফুলপুরে ইতিমধ্যেই জয় অর্জন করেছে মায়াবতী সমর্থিত সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী নগেন্দ্র সিং পটেল। ওই আসনে ৫৯ হাজার ৬১৩ ভোটে জিতেছেন সমাজবাদী নেতা। 

4/11

ফুলপুর এবং গোরক্ষপুর, দুই আসনে বিজেপি বিরোধী জোটের জয় হলেও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কংগ্রেসের। 

5/11

এখন প্রশ্ন, যোগীগড়ে কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল গেরুয়া কেতন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, 'জাতপাতের নয়া সমীকরণে'ই হার হয়েছে শাসক দলের। 

6/11

সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে সাইকেল-হাতির জোড়া ফলায় পদ্ম ফোটার সম্ভবনা নির্মূল হয়ে গেছে ওই দুই আসনে। কারণ, বিজেপির বিরুদ্ধে দলিত, মুসলিম এবং যাদব ভোটকে একাট্টা করা গিয়েছে। 

7/11

হিন্দু তাস কাজ করেনি গোরক্ষপুরে। গোরক্ষনাথের মন্দির যেখানে, সেখানেই কড়া হিন্দুত্বের ওষুধকে এবার 'না' বলেছে উত্তরপ্রদেশের আম আদমি। 

8/11

অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে ওয়াকিবহালমহল আবার বলছে, একবছরে যোগী সরকার কাজে না বড় হয়ে কেবল কথায় বড় হয়েছে। গোরক্ষপুরের মন কি বাত বোঝেননি যোগী, আর সেকারণেই 'শিক্ষা' দিল জনতা। যদিও বিজেপির দাবি, বসপার ভোট সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে যাবে, এটা বুঝেই উঠতে পারেননি তাঁরা। এই হারের পর্যালোচনা করে আগামী দিনে রণকৌশল তৈরি করবে বিজেপি, এমনটাই জানিয়েছেন সে রাজ্যে বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড কেশব প্রসাদ মৌর্য।    

9/11

ফুলপুরে পদ্মফুল না ফোটার কারণ হিসাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়াকেই ফুল মার্কস দিচ্ছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। অনেকে আবার বলছেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই বিজেপির এমন হারের জন্য দায়ী। 

10/11

উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে বিহারের উপনির্বাচনেও হার মানতে হয়েছে এনডি জোটকে। নীতিশ-মোদী জোটের হাতে হারিকেন ধরিয়ে তিন আসনের মধ্যে ২টি আসনে জয়ী হয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল। লালু জেলে থাকলেও লালু তনয় তেজস্বীর তেজেই কার্যত হাত পুড়েছে শাসক জোটের। লোকসভা কেন্দ্র আড়ারিয়া এবং জেহনাবাদ বিধানসভায় নিজেদের আসন ধরে রেখেছে কোণঠাসা আরজেডি। অন্যদিকে ভাবুয়া বিধানসভা আসন ধরে রেখেছে কোনও রকমে মান বাঁচিয়েছে বিজেপি। 

11/11

আগামী ২৭-২৮ মার্চ শরদ পাওয়ারের ডাকে গোল টেবিল বৈঠকে বসছে দেশের সিংহভাগ বিরোধীদল। ইতিমধ্যেই তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন লড়ার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চাইছেন কংগ্রেস নেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীও। এমন অবস্থায়, উপ-নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আরও জোড়াল হল বিরোধী ঐক্য গড়ার প্রস্তাব।