Jagannath's Ratna Bhandar 2024: বিভিন্ন সময়ে এসেছে আশ্চর্য অলৌকিক রহস্যময় সব বাধা! পুরীর মন্দিরের প্রাচীন রত্নভাণ্ডার...

Jagannath's Ratna Bhandar: তিরুপতির বালাজি মন্দির বা দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য মন্দিরগুলিতে রাশি-রাশি ধনসম্পত্তি আছে। তবে, শোনা যাচ্ছে, পুরীমন্দিরের রত্নভাণ্ডার নাকি সবকিছুকেই ছাপিয়ে যাবে! তিরুপতির বালাজি মন্দিরও হার মানবে জগন্নাথদেবের সম্পত্তির কাছে।

| Jul 13, 2024, 16:26 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে রথযাত্রার সময়েই ঘটতে চলেছে সেই বহু প্রতীক্ষিত ব্যাপারটি। খোলা হচ্ছে পুরীর জগন্নাথমন্দিরের রত্নভাণ্ডার। সময়টা এমনিতে খুব পুণ্যের। পুরাণেও বলা হয়, যে ব্যক্তি রথে জগন্নাথের নাম জপে গুণ্ডিচায় যান, তিনি পুনর্জন্মচক্র থেকে মুক্তি পান। আর যে ব্যক্তি তাঁর নাম  উচ্চারণ করে রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। সামনেই উল্টোরথ বা পুনর্যাত্রা। আগামী ১৬ জুলাই, ১ শ্রাবণ, মঙ্গলবার। তার আগেই, রবিবার সেই বিরল ঘটনা ঘটতে চলেছে। 

1/7

রবিবারই দ্বারোদ্ঘাটন

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই চলেছে জল্পনা। বহু দিন এর দরজা খোলেনি। তবে আগামী কাল, রবিবারই খোলা হবে পুরীর সেই বহু ঈপ্সিত রত্নভাণ্ডার। চাবি না পাওয়া গেলে তালা ভাঙা হবে।

2/7

চাবি-হীন

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৮ সালে জগন্নাথমন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি ও এএসআই-র স্থাপত্যবিদরা মন্দিরের ওই কুঠুরিতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু চাবি না থাকায়, দরজা খোলা যায়নি। দরজার গোড়া থেকেই ফিরে আসেন তাঁরা। ফলে, রত্নভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে, সে-রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি।

3/7

জগন্নাথদেবের সম্পত্তি

শোনা যায়, তিরুপতির বালাজি মন্দির বা দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য মন্দিরগুলিতে নাকি রাশি-রাশি ধনসম্পত্তি আছে। তবে, এখন শোনা যাচ্ছে, পুরীমন্দিরের রত্নভাণ্ডার নাকি সবকিছুকেই ছাপিয়ে যাবে! তিরুপতির বালাজি মন্দিরও হার মানবে জগন্নাথদেবের সম্পত্তির কাছে। 

4/7

স্বয়ং নাগরাজ

কিন্তু জানা সত্ত্বেও, কেন সেই রত্নভাণ্ডার খোলা যায়নি? কারণ, বলা হয়, জগন্নাথদেবের সম্পত্তির পাহারায় রয়েছেন স্বয়ং নাগরাজ। তিনি ছাড়াও সেই ভাণ্ডারে বিষধর সাপ কিলবিল করে! মণিমুক্তোয় হাত ছোঁয়ালেই ছোবল!

5/7

অফুরন্ত রত্ন

১৯৭৮ সালের মে-জুলাই নাগাদ শেষবার রত্নভান্ডারের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল। মোটামুটি যা জানা গিয়েছিল, তা হল, জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারে মোট ৪৫৪টি সোনার গয়না, যার ওজন আনুমানিক ১২৮৩৮ ভরি। ২৯৩টি রুপোর গয়না রয়েছে, যার ওজন ২২১৫৩ ভরি।

6/7

হিরে-নীলা-মুক্তো

এসব ছাড়াও রয়েছে ৭৯টি সোনার গয়না, ৩৯টি রুপোর গয়না। রয়েছে নিত্যব্যবহার্য আরও কিছু সোনাদানা। ব্রহ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের নীলা, সুভদ্রার মুক্তো।

7/7

অপেক্ষার শেষ

এই সব সোনাদানার মধ্যে ১৯৮২ ও ১৯৮৫ সালে দুবার গর্ভগৃহের দরজা এবং বলভদ্রের মুকুট সারাতে এই সম্পত্তির কিছুটা ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার, আগামী কাল রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার দিকে সারা দেশ তাকিয়ে!