World Menopause Day: মেনোপজ স্বাভাবিক সত্য, তার মানেই যৌনজীবনের শেষ নয়! বরং...

মেনোপজ মানেই যে যৌন জীবন শেষ, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মেনোপজের সময়ও কিছু শারীরিক পরিবর্তন হয়।   

Oct 18, 2022, 23:17 PM IST
1/7

সৃজিতা মৈত্র:মানুষের যেমন ঘুম পায়, খিদে পায়, তেমনই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর মেয়েদের পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হয়। আবার একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর সেই মাসিক বন্ধও হয়ে যায়। যাকে মেনোপজ বলে। মেনোপজ একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া। তবে, পিরিয়ড চলাকালীন মহিলাদের হরমোনাল ডিসব্যলেন্সের পাশাপাশি বহু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তেমনই, মেনোপজের সময়ও কিছু শারীরিক পরিবর্তন হয়। যা থেকে বহু ক্ষেত্রে যৌন জীবনেও পরিবর্তন আনে। তবে মেনোপজ মানেই যে যৌন জীবন শেষ, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।   

2/7

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মেনোপজ ও সেক্সুয়াল হেলথ একে অপরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। মেনোপজ যৌন কামনার ওপর প্রভাব ফেলে। সাধারণত মেনোপজের সময় বিভিন্ন যৌন হরমোনের ( যেমন- টেস্টোস্টেরন ও ডোপামিন) ক্ষরণ কমে যায়। ফলে যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যায়। যা যৌন মিলনের সময় ব্যথা ও জ্বালার কারণ হতে পারে। 

3/7

এছাড়াও মেনোপজের সময় স্থূলতা, মূত্র ত্যাগে সমস্যা, আরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা প্রভাব ফেলে মেজাজেও। বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেছেন, মেনোপজের সময় মহিলারা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন ও খিটখিটে মেজাজের হয়ে যান। 

4/7

তবে ঠিক এর উল্টো পরিস্থিতিও কিন্তু দেখা যায়। কিছু মহিলা মেনোপজের সময় প্রবল যৌন তাড়না অনুভব করতে পারেন। কারণ, সেই সময় আন্ড্রোজেন নামক হরমোনটি বেশি মাত্রায় ক্ষরিত হয়।

5/7

তবে, অনেকেই যেটা জানেন না যে, পুরুষদেরও একপ্রকার মেনোপজ হয়। মহিলাদের মতই পুরুষদেরও একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্বাভাবিক ছন্দে মেনোপজ আসে।সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়সী কোনো মহিলার টানা ১ বছর পিরিয়ড না হলে ডাক্তাররা অনুমান করে নেন তাঁর মেনোপজ শুরু হয়ে গেছে। সেরকমই পুরুষদের ক্ষেত্রেও ৪০ বছরের পর থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে। একেই অ্যান্ড্রোপজ বা মেল মেনোপজ বলা হয়। আর এই সময় পুরুষদেরও কামশক্তি সাধারণত কমে যায়। 

6/7

সুতরাং, যা প্রাকৃতিক তা কখনই লজ্জার নয়। বরং তা স্বাভাবিক। তাই তার কিছু উপায়ও আছে। যোনিপথ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে, অথবা যৌনতার ইচ্ছে কমে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ  নেওয়া উচিত। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীকে সাহায্য করতে পারে।

7/7

এই সময় আপনার নিয়মিত ব্যয়াম করা উচিত। ব্যয়াম বা যোগাসন করলে শরীর থেকে গুড হরমোন ক্ষরিত হয়, যা মানসিক ও শারীরিক উভয় স্বাস্থ্য বজায় রাখে। পাশপাশি চেষ্টা করুন সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে। ব্যস্ততার মাঝে একটু একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে। মানসিক যোগসূত্র এই সমস্যার অন্যতম প্রধান সমাধান। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী থেরাপির সাহায্যও নিতে পারেন।