ট্রেন দুর্ঘটনায় বাদ গিয়েছিল ডান পা, থামেনি লড়াই, প্যারালিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন ভারতের গর্ব মণীশ

লড়াইটা সহজ ছিল না মোটেই

May 08, 2021, 15:26 PM IST
1/6

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১১ সালের ২ এপ্রিলের স্মৃতি আজও টাটকা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। কিন্তু ছত্তীসগঢ়ের মণীশ পান্ডের জীবনে সেদিনই নেমে এসেছিল অন্ধকার। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ট্রেন দুর্ঘটনায় এক পা হারান মণীশ। সেদিনই ঠিক করে নেন লড়াই থামবে না। থামেও নি। মণীশ এখন প্যারালিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন। এশিয়ান গেমসে পদকজয়ী। লড়াইটা সহজ ছিল না মোটেই।

2/6

২ এপ্রিল ভারত-শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখার জন্য পরীক্ষা দিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছিলেন মণীশ। রায়পুর স্টেশনে ভিড় ট্রেন ঢুকতেই ব্যস্ততা শুরু হয়। পিছন দিয়ে কেউ একজন ঠেলা মারেন মণীশকে। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে ডান পা পিষে যায়। অভাবের সংসারে অস্ত্রোপচারের খরচ বহন করা সম্ভব ছিল না। ফলে হাঁটু থেকে এক পা বাদ দিতে হয় তাঁকে। 

3/6

পা হারিয়ে নিজেকে কখনোই অক্ষম ভাবতেন না মণীশ। তাঁর পরিবার, বন্ধু, স্বজনরা কখনই তাঁকে অক্ষম ভাবতে শেখায়নি, জানান তিনি। 'ঐ দুর্ঘটনা আমার উন্মাদনা কখনোই দমাতে পারেনি। জ্ঞান ফিরে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ভারত ম্যাচটা জিতেছিল কিনা। ভারত জিতেছে আর ম্যাচটা দেখতে না পাওয়ায় মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল,' আক্ষেপ মণীশের। পা হারিয়ে অবসাদ যে আসেনি তা নয়। দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পড়াশোনাও ছাড়তে হয়েছিল। তবে উন্মাদনা কমেনি। পাশে এসে দাঁড়ান সকলে।

4/6

২০১৩ এ প্যারালিম্পিক্স সম্পর্কে জানতে পারেন মণীশ। 'প্রথেস্টিক লেগ' বা নকল পায়ে খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন মণীশ। ঠিক করেন নকল পায়েই খেলার জগতে আবার ফিরবেন। কিন্তু ৬ লক্ষ টাকা খরচ করা সম্ভব ছিল না। তাঁর প্রতিভা দেখে এক সংস্থা তাঁকে পা স্পনসর করে।

5/6

২০১৪ এ প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যান মণীশ। টিউনিশিয়ায় IPC Athletics Grand Pix এ ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার রানে ভারতের হয়ে সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। এরপর উৎসাহিত হয়ে ২০১৫ তে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টে প্রোগ্রামে ভর্তি হন। ২০১৮ এ জাকার্তায় এশিয়ান প্যারালিম্পির গেমসে ভারতের হয়ে খেলে চ্যাম্পিয়ন হন মণীশ।

6/6

চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে চান মণীশ। তাঁরা যে সক্রিয়ভাবে খেলাধুলা করতে পারেন সেই নজিরই গড়তে চান। উৎসাহ দিতে চান সেই সমস্ত ব্যক্তিদের যাঁরা নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে অক্ষমতা না ভেবে এগিয়ে আসতে চান মূলস্রোতে।