কারা সাফ বুঝিয়ে দিল মানুষ, এটা সবে ১৯, ২১ অনেক দেরি, হুঙ্কার আত্মবিশ্বাসী মমতার

Nov 28, 2019, 15:13 PM IST
1/6

নিজস্ব প্রতিবেদন: উপনির্বাচনে জয়ের পর প্রত্যাশিকভাবেই উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মমতার গলায় আত্মবিশ্বাস।  দিলীপের 'ঊনিশে হাফ, একুশে সাফ' কটাক্ষকে বিঁধলেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। মমতার খোঁচা, এটা সবে ১৯। ২১ অনেক দেরি।        

2/6

লোকসভা ভোটের আগে দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছিলেন, ১৯-এ তৃণমূল হাফ। একুশে সাফ। ভোটে ১৮টি আসনপ্রাপ্তির পর সেটাই হয়ে ওঠে বিজেপির যুদ্ধজয়ের মন্ত্র। গলার কাঁটার মতো সেই মন্ত্রকেই বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,''বড় বড় কথা বলেছিল, ঊনিশে হাফ, একুশে সাফ। ৫ মাস আগে নির্বাচন হয়েছিল। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাফ কারা হয়ে গেল। এটা সবে ১৯।  ২১ অনেক দেরি। বিজেপি বাংলার পাপ। সারা দেশের পাপ। ''      

3/6

তৃণমূলের জন্মের পর প্রথমবার কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুরে জিতেছে তারা। ফলাফলে সন্তুষ্ট দলনেত্রী মনে করিয়ে দিলেন, তৃণমূলের ২১ বছর হল। কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর কোনওদিন পাইনি। এটাও আমরা পেয়েছি। জাতি, ধর্ম জোট বেঁধে হারিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। 

4/6

এনআরসি কি প্রভাব ফেলেছে? মমতার জবাব, আপনাদের আমি বলি, এনআরসি নিশ্চিতভাবে কাজ করেছে। তবে একটা একটা জায়গায় একেক রকম ইস্যু রয়েছে। লোকসভায় কালিয়াগঞ্জে রাজবংশীরা ভোট দেয়নি। তখন প্রাইভেট অপারেটরদের দিয়ে ইভিএমের কাজ করানো হয়েছিল। করিমপুরে অর্ধেক উদ্ধাস্তু হিন্দু ও মুসলিম। খড়্গপুরের মানুষও বুঝতে পেরেছে। সবাই আমাদের ভোট দিয়েছে। এটাও একটা কম্বিনেশন। 

5/6

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে তৃণমূলকে সকলে ভোট দিয়েছে বলেও দাবি মমতার। তাঁর কথায়, ''আমি রাজবংশী আমার দরকার বাংলা। আমি আদিবাসী তৃণমূলকে দরকার। আমি মুসলিম, আমার সংস্কৃতি তৃণমূল রক্ষা করতে পারবে। হিন্দুরা মনে করে সর্বধর্ম সমণ্বয় করতে পারবে একমাত্র তৃণমূল। অবাঙালিরাও বাংলায় ভালো আছেন। তাঁরাও শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুবিধা পাচ্ছেন। সবার ভোট পেয়েছি। এটা সবচেয়ে বড় জয়। উপনির্বাচন হলেও গুরুত্বপূর্ণ।'' 

6/6

মমতা আরও বলেন,''বিজেপির ঔদ্ধত্য বেড়ে গিয়েছে। একেক জন নেতা নিজেকে কী মনে করছে! বাপরে বাপ। আয়নায় মুখ দেখে না নিজেদের। শতছিদ্র নিজেদের। অথচ যেন ওয়াশিং মেশিন হয়ে গিয়েছে বিজেপি। সবাই চোর, দুর্নীতিবাজ, দেশদ্রোহী। ওদের ওয়াশিং মেশিনে যাও পরিষ্কার হয়ে চলে আসবে। এটা বিভ্রান্তিমূলক রাজনীতি।''