৫৭ বছরে Amit Shah, দেখে নিন কেমন ছিল তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা

কলঙ্ক থেকে গুরুদায়িত্ব, আমিত শাহের রাজনৈতিক জীবন সবসময়েই ছিল ঘটনাবহুল। 

Oct 22, 2021, 16:09 PM IST

অমিত শাহ ১৯৬৪ সালে মুম্বইতে ব্যবসায়ী অনিলচন্দ্র শাহের পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। সেই সময়ে তাঁর নাম ছিল অমিতভাই অনিলচন্দ্র। তাঁর অরাজনৈতিক পারিবারিক পটভূমি এবং বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতক ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও, তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বেচ্ছাসেবক এবং অখিল ভারতীয় ছাত্র পরিষদ (ABVP) নেতা হওয়ার পথ বেছে নেন। পরবর্তীকালে শাহ ভারতীয় জনতা পার্টিতে (BJP) যোগদান করেন এবং এল কে আদভানি (LK Advani) এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajapyee) নির্বাচনী প্রচার পরিচালনা করেন।

1/5

কবে এলেন রাজনীতিতে

When he joined politics

স্কুলজীবনে অমিত শাহ অখিল ভারতীয় ছাত্র পরিষদের (ABVP) নেতা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি RSS -এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে RSS-এর একজন স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে BJP-তে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি একজন স্টক ব্রোকার ছিলেন। ১৯৯৫ সালে, তিনি কেশুভাই প্যাটেল সরকারে গুজরাট স্টেট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।

2/5

কবে প্রথম দেখা মোদীর সাথে

when did he first met modi

১৯৮২ সালে আহমেদাবাদ RSS সার্কেলে তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথম দেখা করেন। সেই সময়ে, মোদী ছিলেন RSS-এর একজন সাধারন প্রচারক, যিনি শহরে যুব কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে ছিলেন। শাহ ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে যথাক্রমে লালকৃষ্ণ আদবানি এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্য নির্বাচনী প্রচার পরিচালনা করেন। এটি তাকে একটি চমৎকার নির্বাচন পরিচালক এবং কৌশলবিদ হিসেবে উঠে আসতে সাহায্য করেছিল। 

3/5

নির্বাচনে প্রথম জয়

first win in election

শাহ পরপর চারটি নির্বাচনে-১৯৯৭ (উপনির্বাচন), ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০০৭ সালে সারখেজ (Sarkhej) থেকে বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর জয়ের পর শাহকে স্বরাষ্ট্র, সংসদ বিষয় এবং আইন ও বিচার সহ বেশ কয়েকটি প্রধান মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

4/5

কলঙ্ক এবং প্রত্যাবর্তন

comeback of amit shah

২০১০ সালে, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা থাকাকালীন দুটি ভুয়ো পুলিস এনকাউন্টারের ঘটনা সৃষ্টি করার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগে শাহ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে তাকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে কোন চূড়ান্ত প্রমাণ না পেয়ে তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোহরাবউদ্দিন ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় তার ভূমিকা নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্ট তাকে দুই বছরের জন্য গুজরাট থেকে নির্বাসিত করে। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে দিল্লিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিজ্ঞদের সাথে মিলিত হন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কান্ডারি হিসেবে তিনি রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেন। 

5/5

নির্বাচনী দায়িত্ব

political task

উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের জন্য বিজেপি অমিত শাহকে দলের ইনচার্জ করে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি দলের জন্য দুর্দান্ত জয় নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে, বিজেপি ৮০টির মধ্যে ৭৩টি আসন জেতেন। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তাকে দলের জাতীয় সভাপতি করা হয়। সেই সময়ে তার নেতৃত্বে বিজেপি মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ক্ষমতায় আসে।