Gangasagar Kapil Muni Ashram: ভয়াবহ! বঙ্গোপসাগর ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে কপিলমুনির আশ্রম! কী হবে সাগরদ্বীপের?
Gangasagar Kapil Muni Ashram: সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গঙ্গাসাগর। চারিদিক জলবেষ্টিত এই দ্বীপের সঙ্গে রাজ্যের ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের নানা রকম আবেগ জড়িয়ে। এখানে আছে কপিল মুনির মন্দির। কী ঘটছে সেখানে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গঙ্গাসাগর। চারিদিক জলবেষ্টিত এই দ্বীপের সঙ্গে রাজ্যের ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের আবেগ জড়িয়ে। এখানে আছে কপিল মুনির মন্দির। আর এই কপিল মুনির মন্দিরকে ঘিরেই এখানে বসে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাসাগর মেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ মেলায় আসেন অগণিত মানুষ। কচুবেড়িয়া থেকে কপিলমুনির মন্দির পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ। বঙ্কিমনগর থেকে মায়া-গুয়ালিলনি ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। এই হল গঙ্গাসাগর দ্বীপ। মুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে গঙ্গাসাগর দ্বীপে যেতে হয়।
1/6
ভাঙতে ভাঙতে
2/6
মন্দির-লাগোয়া মাঠ
photos
TRENDING NOW
3/6
রাস্তা ভাঙছে
কপিলমুনির মন্দির থেকে দু'নম্বর ঘাটের দিকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। সেটিও এখন ভেঙে কমতে-কমতে প্রায় ৬০-৭০ মিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। ভাঙন প্রায় মন্দিরের কাছাকাছি চলে এসেছে, চলে এসেছে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ। দুনম্বর ঘাটে আশেপাশে যেসব দোকানপাট ছিল, তা পুরোপুরি সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বাকি রইল যে তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ঘাট, ভাঙন সেখানেও। (তথ্য : নকিব উদ্দিন গাজী)
4/6
কী হবে সাগরমেলার?
5/6
কেন্দ্রীয়-সহায়তা
তাই সব পক্ষই মনে করছে, গঙ্গাসাগরের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য, কপিলমুনি মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্র সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এমনই মনে করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীও। তবে মন্দির এবং মন্দিরের আশেপাশের সৌন্দর্যায়ন করতে রাজ্য সরকার একাধিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তো গঙ্গাসাগর কপিল মুনির মন্দিরের সামনের অংশই ভাঙছে না, পাশাপাশি ভাঙছে বঙ্কিমনগর কসতোলা, চাপাতলা ধবলারহাট-সহ একাধিক নদীবাঁধ। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কোথাও কোথাও আপদকালীন কাজ চললেও ভরা কোটাল এলেই কেঁপে ওঠে নদীর ধারে বসবাসকারীদের বুক। (তথ্য : নকিব উদ্দিন গাজী)
6/6
ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ
সামগ্রিক ভাবে গঙ্গাসাগর দ্বীপটিরই চারিদিকে ভাঙন ঘটছে। দ্বীপটি ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার মূল মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কপিলমুনির মন্দিরের সামনের ওই ১ থেকে ৫ নম্বর ঘাটের অংশ। এখনই ওই অঞ্চলে ভাঙনরোধী কিছু কাজ না করা হলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। (তথ্য : নকিব উদ্দিন গাজী)
photos