প্রস্তুতি প্রায় শেষ, লকডাউনের পর চালু হচ্ছে বিশেষ দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা

Apr 09, 2020, 17:30 PM IST
1/7

 গোটা দেশে যে এক ধাক্বায় লকডাউন ১৪ এপ্রিল উঠে যাচ্ছে না,  সর্বদলীয় বৈঠক থেকে এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট। কিন্তু শিথিল হতে পারে লকডাউন। তাই লকডাউনে দূরে আটকে পড়া মানুষদের জন্য ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ভারতীয় রেল। রেলের  সব শাখার কর্মীদেরই জরুরিকালীন কাজের জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

2/7

রেল পরিষেবা সচল হলেও শুধু চলবে দূরপাল্লার ট্রেন। লোকাল ট্রেন চলার কোনও সম্ভাবনা এই মুহুর্তে নেই। হাওড়া- শিয়ালদহ-সহ বিভিন্ন শাখায় লোকাল ট্রেন চালানোর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেই ট্রেন ব্যবহৃত হবে শুধুমাত্র রেলকর্মী এবং বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্তদের জন্য।

3/7

করোনা মোকাবিলায় ট্রেনের অনেক কোচকেই আইসোলেশন কোচে পরিণত করা হয়েছে। তাই ১৫ এপ্রিল পরিস্থিতি যদিও স্বাভাবিক হয়, তাহলেও বাতিল থাকবে অনেক ট্রেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাওড়া থেকে পূর্ব রেলের ৩১টি মেল, এক্সপ্রেস, ইন্টারসিটি ট্রেন চলার কথা।

4/7

সমস্ত সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত থাকলেও বাস্তব পরিস্থিতির সাপেক্ষে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। দেশে করোনা সংক্রমণ লাগামছাড়া না হলেও, এর বৃদ্ধির সংখ্যাটা নগন্য নয়। এ অবস্থায় আন্তঃরাজ্য যাতায়াত শুরু হয়ে গেলে নতুন করে বিপদ ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কাও ভাবাচ্ছে রেল কর্তাদের।

5/7

১১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই বাংলায় পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারণা মিলবে। গোটা দেশকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে তিনটি জোনে ভাঙতে চাইছে। লাল, হলুদ ও সবুজ। হলুদ জোনে চলবে নিয়ন্ত্রিত ট্রেন। সবুজ জোন থেকে তুলে নেওয়া হবে নিয়ন্ত্রণ।

6/7

 নিয়ন্ত্রিত ট্রেন চলাচল শুরু হলেও কয়েকটি পদক্ষেপ করার কথা।   i) ট্রেনের মধ্যেও যাত্রীদের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।   ii) থ্রি-টিয়ার স্লিপার বা এসি-তে কোনও মিডল বার্থ থাকবে না।

7/7

iii) সব স্টেশনে ঢোকার সময় থার্মাল স্ক্রিনিং।   iv) ৬০ বছরের বেশি বয়সি অর্থাৎ প্রবীণ নাগরিকদের এখনই ট্রেনযাত্রার অনুমোদন না দেওয়া।   v) ট্রেনে মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক। না পরলে জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি।