কেমন দেখতে হয় ATM স্কিমার, কী করে বাঁচবেন জালিয়াতির হাত থেকে?

Aug 02, 2018, 12:22 PM IST
1/7

এবার খাস কলকাতায় এটিএম জালিয়াতি। দু'টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাকদের এটিএম কার্ডের তথ্য চুরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিয়েছে প্রতারকের দল। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে মল্লিকবাজার ও গড়িয়াহাটের ২টি এটিএম থেকে চুরি করা হয়েছে গ্রাহকদের তথ্য। এটিএম-এ তথ্য চুরির এই পদ্ধতিকে বলে স্কিমিং। এই পদ্ধতিতে যে কোনও এটিএম কার্ডের তথ্য পৌঁছে যায় প্রতারকের কাছে। সেই তথ্য ব্যবহার করে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলে প্রতারকরা। কিন্তু কী করে নিজেকে বাঁচাবেন প্রতারকদের হাত থেকে?

2/7

জালিয়াতির দুনিয়ায় স্কিমিং কোনও নতুন জিনিস নয়। ইউরোপ ও মার্কিম যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার সরিয়ে ফেলে প্রতারকরা। বিশেষ করে পশ্চিমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওটিপি-র ব্যবহার হয় না। ফলে অনলাইন কেনাকাটাতেও সহজেই ব্যবহার করা যায় চুরি করা কার্ডের তথ্য। মূলত ২ ভাবে গ্রাহকের তথ্য চুরি করে প্রতারকরা। স্কিমিং ডিভাইস ব্যবহার করে ক্লোন করে নেওয়া হয় কার্ডের তথ্য। অথবা গোপন ভিডিও ক্যামেরা লাগিয়ে কার্ডের যাবতীয় তথ্য ও পিন জেনে ব্যবহার করা হয় অনলাইন লেনদেনে।

3/7

জালিয়াতদের হাত থেকে বাঁচতে গেলে নিরাপত্তাবিহীন এটিএম ব্যবহার না-করাই ভাল। নিরাপত্তারক্ষী বিহীন এটিএম কাউন্টারে যে কেউ ঢুকে যন্ত্রের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারে স্কিমিং মেশিন। 

4/7

মূলত এটিএমের যে অংশের আপনি কার্ডটি ঢোকান, সেখানে লাগানো হয় স্কিমার। আঁঠা দিয়ে বা ক্লিপের মাধ্যমে লাগানো থাকে স্কিমার যন্ত্রটি। সেক্ষেত্রে এটিএম-এর কার্ড ঢোকানোর জায়গাটি হাত দিয়ে হালকা করে নাড়ালেই নড়তে থাকবে। তেমন হলে খুলেও আসতে পারে ওই যন্ত্রটি। 

5/7

এছাড়া এটিএমের কি প্যাডের ওপরে লাগানো থাকতে পারে নকল একটি কি প্যাড। সাধারণ নজরে তা দেখে বোঝা মুশকিল। ভাল ভাবে নজর করলে তবেই বোঝা যায় দ্বিতীয় কি প্যাডটির উপস্থিতি। ওই নকল কি প্যাড দিয়ে গ্রাহকের পিন জেনে নেয় প্রতারকরা। 

6/7

ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে এটিএম কার্ডের তথ্য ও পিন জেনে নেয় প্রতারকরা। সেক্ষেত্রে এটিএমে পিন দেওয়ার সময় হাত দিয়ে ঢেকে দিলে রক্ষা মিললেও মিলতে পারে। 

7/7

এছাড়া ব্যাঙ্ক থেকে আসা যাবতীয় এসএমএসে নজর রাখুন। নজর রাখুন ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে। কোনও অচেনা লেনদেন নজরে এলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। এটিএম স্কিমিংয়ের শিকার হলে আপনাকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য ব্যাঙ্ক। ফলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।