শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় নাম, অথচ কাউন্সেলিংয়ে কেন বাদ? এসএসসি-কে প্রশ্ন হাইকোর্টের

Feb 14, 2019, 20:46 PM IST
1/9

শিক্ষক নিয়োগের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও কাউন্সেলিংয়ে কেন বাদ? এক মামলায় এসএসসি-কে প্রশ্ন করল হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগের এসএলএসটি-র পরীক্ষায় চূড়ান্ত প্যানেলে নাম রয়েছে, অথচ ডাক পাননি কাউন্সেলিংয়ে। তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েও সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন অন্যরা। এমনই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অমৃতা ঠাকুর। তার প্রেক্ষিতে এসএসসি-র কাছে কারণ দর্শাতে বলল হাইকোর্ট।   

2/9

শুনানিতে মামলাকারী অমৃতা ঠাকুরের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী আদালতে জানান, এসএসসির আইনের ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, চাকরিপ্রার্থীকে সাধারণ ও বালিকা বিদ্যালয়ের নিয়োগ তালিকায় সুযোগ দিতে হবে চাকরিপ্রার্থীকে। 

3/9

কিন্তু, অমৃতা ঠাকুরের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষায় যাঁরা তাঁর চেয়ে কম নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে। অথচ বাদ পড়েছেন তিনি। 

4/9

শুধু তাই নয়, সাধারণ স্কুল ও বালিকা বিদ্যালয়ের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অমৃতার নাম। 

5/9

পাল্টা এসএসসি-র আইনজীবী সুতনু পাত্র দাবি করেন, লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে তালিকা। ওই প্রার্থী কম নম্বর পাওয়ায় সুযোগ পাননি। 

6/9

বিচারপতি জানতে চান, এবিষয়ে এসএসসি-র রুলে কী রয়েছে। তার সদুত্তর দিতে পারেননি সুতনু পাত্র। 

7/9

সওয়াল-জবাবের শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এসএসসি-র কাছে জবাব চেয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের এসএলএসটি-র পরীক্ষায় চূড়ান্ত প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও কাউন্সেলিংয়ের সময়ে কীভাবে বাদ পড়ল নাম? প্যানেল অগ্রাহ্য করে কাউন্সেলিং ছাড়া কীভাবে সাধারণ স্কুল ও বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার নিয়োগ? কেন দু'ধরণের স্কুলের তালিকায় ওই শিক্ষিকার নাম অন্তর্ভুক্ত করল না স্কুল সার্ভিস কমিশন? 

8/9

উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিয়ে ৫ মার্চে রিপোর্ট পেশ করতে হবে এসএসসি-কে।  

9/9

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএলএসটির জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষকতার পরীক্ষা দেন অমৃতা ঠাকুর। পরীক্ষায় পাশ করার পর চুড়ান্ত প্যানেলে নাম ওঠে তাঁর। কিন্তু ওই প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁর চেয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের কাউন্সিলিংয়ে ডাকা হলেও তিনি বাদ পড়েছেন। এর পাশাপাশি স্কুল বিভাজনের তালিকা থেকেও তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে এসএসসির দ্বারস্থ হলেও মেলেনি সমাধানসূত্র। এরপর আদালতে মামলা দায়ের করেন অমৃতা ঠাকুর।