Durga Puja 2022: দুর্গাপুজো এবার 'স্বর্গে'! এই প্রথম মেঘ-কুয়াশার ভিতরে বেজে উঠবে ঢাক...

দুর্গাপুজো সামনেই। মা আসছেন। সেই আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা দেশ, সারা বাংলা। সেই আনন্দের ঢেউ এবার আছড়ে পড়ল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের কোলে। ঝান্ডি ও সুন্তালে এলাকায়। পুজো এবার সেখানেও। ফলে আসন্ন পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় মানুষজন।

| Sep 20, 2022, 14:57 PM IST

অরূপ বসাক: মা আসছেন। সেই আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা দেশ, সারা বাংলা। সেই আনন্দের ঢেউ এবার আছড়ে পড়ল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের কোলে। ঝান্ডি ও সুন্তালে এলাকায়। পুজো এবার সেখানেও। ফলে আসন্ন পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় মানুষজন।

 

1/6

পর্যটনমানচিত্রে বিশিষ্ট

কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ের কোলে ছোট্ট দুটি গ্রাম-- ঝান্ডি ও সুন্তালেখোলা। মনোরম পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য অনেক দিনই রাজ্যের পর্যটনমানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে এই দুই গ্রাম। সারাদিন এখানে মেঘ ও রোদের খেলা। শীতের দিনে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে দুই গ্রাম। সব মিলিয়ে গোটাচল্লিশেক পরিবারের বাস। জীবিকার প্রধান উৎস এলাচ ও ঝাড়ুর চাষ, সঙ্গে পশুপালনও রয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি হোমস্টে গড়ে উঠেছে দুই গ্রামে। আর তারই সূত্র ধরে এখানে শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানও। 

2/6

মনখারাপের অবসান

কিন্তু পাহাড়ের এত উঁচুতে কোনও দিনই দুর্গাপুজোর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। হবেই-বা কী করে? মুষ্টিমেয় কিছু লোকের পক্ষে পাহাড়ের এত ওপরে পুজোর আয়োজন করা প্রায় অসম্ভবই ছিল। তাই এখানকার মানুষজন দুর্গাপুজোর কদিন নীচে গরুবাথান এলাকায় পুজা দেখতে যেতেন। এ নিয়ে তাদের একটু মনখারাপও ছিল।

3/6

এ বছর ছবিটি আলাদা

কিন্তু এ বছর ছবিটি আলাদা। এ বছর সমস্ত প্রতিকূলতা টপকে পাহাড়ের ওপরেই পুজো হচ্ছে। কী করে হচ্ছে? দক্ষিণবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ী শুভম পোদ্দার কয়েকবছর আগে এখানে গড়ে তুলেছেন এক হোমস্টে। এ বছর তাঁরই উদ্যোগে পাহাড়ের উপরের প্রথম দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে 'ঝান্ডি-সুন্তালে ইউনাইটেড ক্লাব'। পুজার নাম দেওয়া হয়েছে 'স্বর্গের দুর্গাপূজা'।

4/6

হোমস্টে'র হাত ধরে পুজো

শুভমবাবু জানালেন, 'পাহাড়ে থাকার অভিলাষ আমার বহুদিনের। সেই ইচ্ছা পূর্ণ করতে এখানে হোমস্টে গড়ে তুলেছিলাম। এখন বহু পর্যটক আসেন পুজার সময়ে। তবে এখানে থাকতে গিয়ে দেখেছি, পুজার কয়েকদিন স্থানীয়রা আর পর্যটকেরা পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে না পেরে একটু হতাশ যেন। গত বছর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। বলতে পারেন এক বছর ধরে উদ্যোগ নিয়ে এবার পুজোর আয়োজন করা সম্ভব হল। স্থানীয়রাও এ ব্যাপারে দারুণ সাহায্য করছেন আমাকে।' 

5/6

পুজোর আয়োজন

এই পুজোর জন্য প্রতিমা আসছে মালবাজার শহর থেকে। শিল্পী সুবল পাল। পুরোহিত আসছেন ময়নাগুড়ি থেকে। জোড়া ঢাকি আসবেন কলকাতা থেকে। পুজোর কদিন চলবে নানা অনুষ্ঠান। হবে ভোগপ্রসাদ বিতরণ। পুজার পর কলকাতা ও অন্যান্য জায়গার শিল্পীদের নিয়েও হবে এক জমাটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

6/6

পুজোর টানে

পাহাড়ের এই পুজোর টানে আগামী দিনে সমতলের বহু মানুষও ক্রমশ পাহাড়মুখী হবেন বলে আশা করছেন শুভম, আশা করছেন এখানকার স্থানীয় মানুষজনও।