বাঁকুড়ার জরামবাটিতে জন্ম মা সারদা'র। তাঁর সেই পবিত্র জন্মভিটেতে পরবর্তীকালে স্থাপিত হয় মাতৃমন্দির। সেই মাতৃমন্দিরের উদ্যোগেই গত প্রায় ৯০ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে দুর্গা পূজা। আজ তা বাঙালির দুর্গাপুজোর প্রাচীন ঐতিহ্যের শরিক।
2/6
মাতৃমন্দির
এখানের পুজোর মূল আকর্ষণ অষ্টমীর কুমারী পূজা। সারদার জন্ম স্থানে দুর্গাপুজো দেখতে ফি বছর দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ও পুণ্যার্থীরা পুজোর সময়ে ভিড় জমান জয়রামবাটিতে।
photos
TRENDING NOW
3/6
জয়রামবাটী
১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেন সারদা। সে কালের রীতি অনুযায়ী অতি অল্প বয়সেই পার্শ্ববর্তী হুগলি জেলার কামারপুকুরের রামকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের দীর্ঘদিন পর ১৯১৫ সাল পর্যন্ত সারদা জয়রামবাটির খড়ের চালা মাটির বাড়িতেই ছিলেন।
4/6
বসতবাড়ি
১৯১৬ সাল থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত তিনি তাঁর পুরনো বাড়ি ছেড়ে পাশেই একটি নতুন খড়ের বাড়িতে বসবাস করেছিলেন। সে সময়ে জয়রামবাটিতে দুর্গা পুজোর চল ছিল না। ধুমধাম করে ওই এলাকায় পালিত হত জগদ্ধাত্রী পুজো। কথিত আছে, মা সারদা জগদ্ধাত্রীকে তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া-সহ প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
5/6
১৯২৩ সালে শুরু
১৯২৩ সালে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সারদানন্দজীর উদ্যোগে জয়রামবাটিতে প্রতিষ্ঠা হয় মাতৃমন্দির। আর সে বছরই সারদার জন্ম ভিটেতে দুর্গাপূজার সূচনা। প্রথম কয়েক বছর ঘটেপটে দুর্গা পূজা হলেও ১৯৩২ সাল থেকে প্রতিমা তৈরি করে জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে দুর্গা পূজা শুরু হয়।
6/6
কুমারী পুজো
অষ্টমীর দিন এখানে কুমারী পূজা দেখতে হাজার হাজার দর্শক ভিড় করেন। কুমারী হিসাবে পূজা করা হয় মা সারদার বাপেরবাড়ির বংশের কোনও কুমারীকে। আড়ম্বর নয়, মা সারদার জন্মভিটের দুর্গা পূজার মূল বিষয়বস্তু ভাব ও নিষ্ঠা। এই দুই বিষয় বজায় রেখেই বছরের পর বছর ধরে পূজা হয়ে আসছে জয়রামবাটিতে।