Kolkata Doctor Rape And Murder Case: ওটির 'মোচ্ছব' ভিডিয়ো করেই কোপে আরজি করের নির্যাতিতা? গোয়েন্দার দাবিতে নতুন তোলপাড়...

R G Kar Doctor Death: ঘটনাচক্রে এক মোচ্ছবের ভিডিয়ো তুলে ফেলেছিলেন 'অভয়া' তথা 'তিলোত্তমা', তথা 'আরজি করে'র নির্যাতিতা! সেটা তোলাই কি কাল হল তাঁর? এর জন্যই কি সন্দীপবাহিনীর কোপে পড়েন তিনি? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে ভাবাচ্ছে এইসব প্রশ্নই।

| Sep 23, 2024, 15:34 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি করের অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে চলত দেদার ফুর্তি, খানাপিনা। এমনকি, মদ-মাংস-মোচ্ছব? সূত্রের দাবি, মোচ্ছব বলে মোচ্ছব! ওই ধরনের আয়োজনে নাকি অবলীলায় ডেকে পাঠানো হত কোনও সুন্দরী তরুণী ইন্টার্ন কিংবা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি)কে! আর, ঘটনাচক্রে এরকম এক মোচ্ছবের ভিডিয়োই তুলে ফেলেছিলেন 'অভয়া' তথা 'তিলোত্তমা', তথা 'আরজি করে'র নির্যাতিতা! সেটা তোলাই কি কাল হল তাঁর? এর জন্যই কি সন্দীপবাহিনীর কোপে পড়েন তিনি? এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে ভাবাচ্ছে এইসব প্রশ্নই।

1/6

স্মার্টফোন

তদন্তকারীদের দাবি, বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল 'অভয়া'কে। তিনি কি এমন কিছু জেনে ফেলেছিলেন, যা সন্দীপ ও তাঁর সঙ্গীদের বিপদে ফেলত? এ ব্যাপারে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তরুণী চিকিৎসকের স্মার্টফোনটি। 

2/6

নির্ভয়া 'অভয়া'

'অভয়া' কোনও পার্টির ছবি-ভিডিয়ো তুলে ফেলেন। সেই খবর জেনে ফেলেন সন্দীপ। এরপরই অভয়াকে বোঝানো শুরু হয়, তিনি যাতে ভিডিয়োটি তাঁর ফোন থেকে ডিলিট করেন। চিকিৎসক অরাজি হন। মুখের উপর তিনি জানিয়ে দেন, হাসপাতালে এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করবেন না, নির্দিষ্ট ফোরামে এটি তুলবেন তিনি। তারপর তাঁকে ভয়ও দেখানো হয়।

3/6

ডিলিট

কিন্তু সিবিআই সূত্রের দাবি, অভয়াকে ভয় দেখিয়ে নাকি লাভ হয়নি।  হাতানো যায়নি তাঁর স্মার্টফোনটিও। পরে বিপদ বুঝেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের।

4/6

খুনের পরেই

তবে অভয়াকে ধর্ষণ বা খুন নয়, কোনও ভাবে তাঁর স্মার্টফোনটি হাতানোই মূল লক্ষ্য ছিল সন্দীপবাহিনীর। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেটা অন্য দিকে ঝোঁকে। জানা যায়, খুনের পরই সন্দীপ ডেকে আনেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে। তিনি সন্দীপের মোবাইল সফ্টওয়্যার এক্সপার্টও। 

5/6

সন্দীপের সঙ্গেই অকুস্থলে

সিবিআই-সূত্র বলছে, সন্দীপের কল ডিটেইলস ঘেঁটে তারা জেনেছে, ভোরের দিকে ফোন করা হয় ওই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে তাঁকে আনতে গাড়িও পাঠানো হয়। হাসপাতালে ঢুকে সন্দীপের সঙ্গে অকুস্থলে আসেন তিনি। এসেই তরুণীর স্মার্টফোনটি সেখান থেকে তুলে নেন সন্দীপ। তারপর নিজের চেম্বারে এসে সেটি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করে ওই ভিডিয়োটি খোঁজেন। ভিডিয়োটি ডিলিট করার নির্দেশ দেন তিনি।

6/6

ফুটেজ ব্লক

শুধু তাই নয়, এরপর নির্যাতিতার স্মার্টফোনে থাকা হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও নষ্ট করা হয় বলেও জানতে পারে সিবিআই। ওই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে দিয়েই হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ব্লকও করে দেন সন্দীপ।