বেনজির! যাদবপুরে কীভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্থা, ঘটনাক্রম দেখুন ছবিতে

Sep 19, 2019, 23:57 PM IST
1/8

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য রাজনীতিতে বেনজির ঘটনা। বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারে, যাদবপুরে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভে তিনিও বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়েন। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে বাবুলকে নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন রাজ্যপাল। গোটা ঘটনায় উপাচার্য ও প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। 

2/8

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। পৌনে ৩টে নাগাদ ক্যাম্পাসে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলও। ক্যাম্পাসের গেট পেরোতেই বাবুলকে এগোতে বাধা দেন ছাত্রছাত্রীরা। কালো পতাকা দেখিয়ে বিজেপি-বিরোধী পোস্টার-ব্যানার-তুলে ধরে চলে তুমুল বিক্ষোভ। শুরু হয় হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি। 

3/8

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম থেকে বেরনোর সময় ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, তিনি পদত্যাগ করতেও তৈরি। কিন্তু, ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার অনুমতি দেবেন না। পুলিস না আসায় পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে থাকেন বাবুল। গাড়ির ওপর বসে পড়েন তিনি।   

4/8

খবর যায় রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপর ফোন করেন মুখ্যসচিবকেও। 

5/8

রাজভবন থেকে দেওয়া কড়া বিবৃতিতে বলা হয়,''কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে বেআইনিভাবে আটকে রাখা, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এবং পুলিসি ব্যবস্থার উদ্বেগজনক প্রতিফলন। রাজ্যপাল উপাচার্যকে বলেছেন তিনি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যপাল, মুখ্যসচিবের সঙ্গেও কথা বলেন। মুখ্যসচিব জানান পুলিস কমিশনারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটিকে মাননীয় রাজ্যপাল অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।'' 

6/8

কিছুক্ষণের মধ্যেই, নজিরবিহীনভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। 

7/8

সন্ধে ৭টা নাগাদ পৌছন রাজ্যপাল। পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভে, প্রায় দশ মিনিট গাড়ি থেকে নামতেই পারেননি তিনি। বিক্ষোভ ঠেলে বাবুল নিজেই রাজ্যপালের গাড়ির কাছে যান। তাঁর গাড়িতে উঠে বসেন। এরপর রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। বাবুল ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত সরবেন না বলে জানিয়ে দেন পড়ুয়ারা।

8/8

পুলিসের হস্তক্ষেপে রাত সোয়া ৮টা নাগাদ বাবুলকে নিজের গাড়িতে বসিয়েই ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। তুমুল অশান্তির মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায়, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন উপাচার্য।