কলকাতায় জন্ম নিল ১১টি ইয়েলো অ্যানাকোন্ডা, 'ওয়ার্ল্ড স্নেক ডে'-তে খুশির খবর

Jul 16, 2020, 21:53 PM IST
1/7

মৌপিয়া নন্দী : তাদের পূর্ব পুরুষদের বাস দক্ষিণ আমেরিকার গহীন জঙ্গলে। তবে আপাতত কলকাতার বাসিন্দা তারা। ইয়েলো অ্যানাকোন্ডা। না না, আঁতকে ওঠার কিছু নেই, আলিপুর চিড়িয়াখানার সাজানো এনক্লোজারেই সংসার পেতেছে ৪টি ইয়েলো অ্যানাকোন্ডা। শুধু তাই নয়, বংশবৃদ্ধিও করছে তারা। 

2/7

১৬ জুলাই ওয়ার্ল্ড স্নেক ডে। আর এমন দিনেই এল খুশির খবর। এদিন এনক্লোজারে ১১টি খুদে ইয়েলো অ্যানাকোন্ডার জন্ম দিল মা সাপ। আর তাতে বেশ খুশি আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্তারা।

3/7

গত ২০১৯ সালে মাদ্রাজ স্নেক পার্ক থেকে আনা হয় চারটি ইয়েলো অ্যানাকোন্ডাকে। দুটি পুরুষ, দুটি স্ত্রী। বদলে দেওয়া হয় চারটি কেউটে এবং চারটি কালাচ। তারপর থেকে অ্যানাকোন্ডাদের স্থায়ী বসবাস এখানেই। তাদের তোয়াজের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ প্রাকৃতিক এনক্লোজার। তাতে রয়েছে কৃত্রিম জলাজমি, ছোট-বড় পাথর, ঝোপ-জঙ্গল। আর তারা যে বেশ খোশ মেজাজেই রয়েছে তা বলাই যায়।

4/7

 ন্যাশানাল জিওগ্রাফিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী অ্যানাকোন্ডা বিশ্বের সেই ৩০ শতাংশ সাপেদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, যারা ডিম পাড়ে না। সরাসরি বাচ্চার জন্ম দেয়। বাচ্চার আকারও অনেকটাই বড়। দেহের অভ্যন্তরেই ডিমের আকার থেকে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে বাচ্চা অ্যানাকোন্ডা। কোনও কোনও প্রজাতি একবারে প্রায় ৪০ টা পর্যন্ত শিশুর জন্ম দিয়ে থাকে। জন্মের পরেই স্বাবলম্বী হয়ে যায় খুদে অ্যানাকোন্ডা। 

5/7

কিছু কিছু ডিম থেকে সফলভাবে বাচ্চা হয় না। সেগুলি নিজেই খেয়ে ফেলে মা অ্যানাকোন্ডা। অবশ্য জানিয়ে রাখি, শিশুদের ধারণ করার পুরো সময়টা শরীরের ভারের কারণে নড়াচড়া কম করে মা। ফলে কয়েক মাস শিকার ধরে না ও খায় না মা অ্যানাকোন্ডা।

6/7

রাজ্য জু অথোরিটির প্রধান বিনোদ কুমার যাদব জানান, "সদ্যজাত অ্যানাকোন্ডাদের যত্ন নিচ্ছেন জু কিপাররা। চিকিত্সকরা নজর রাখছেন।"

7/7

নতুন এই অতিথিরা আলিপুর চিড়িয়াখানার নবতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, একটু বড় হলে রাজ্য, দেশ এমনকি বিদেশের অন্য চিড়িয়াখানার সঙ্গেও এক্সচেঞ্জ করে নতুন সাপ আনা যাবে।