করোনায় ব্যবহৃত বর্জ্য যত্রযত্র ফেলা যাবে না, মুখ্যসিচবকে হলফনামা পেশের নির্দেশ আদালতের
সম্প্রতি হাওড়ায় একটি বস্তি এলাকা থেকে ৪০ জনের করোনা আক্রান্তের খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেখা যায় বস্তির কাছে একটি বর্জ্য ফেলার জায়গা রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবহার করা মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজারের খালি বোতল বাড়াচ্ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। নিয়মাবলী নির্দিষ্ট নয়, কাজেই অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গেই যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে সেগুলি। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণের ভয়। এবার সঠিক গাইডলাইন মেনে তা পালন করতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল পরিবেশ আদালতের। এখন শহরের ফের নতুন বিপত্তি।
সম্প্রতি হাওড়ায় একটি বস্তি এলাকা থেকে ৪০ জনের করোনা আক্রান্তের খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেখা যায় বস্তির কাছে একটি বর্জ্য ফেলার জায়গা রয়েছে। পরিবেশ কর্মী সুভাস দত্ত ওই এলাকাসহ বেলগাছিয়ার এলাকার কিছু ছবি আদালতে জমা দেন। ছবিতে দেখা যায় অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গেই আছে গ্লাভস,মাস্ক। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্যের গাইডলাইনে এই ধরণের ব্যবহৃত জিনিস বিশেষভাবে চিহ্নিত করে নষ্ট করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুভাষবাবু জানান,কোভিডের জন্য ব্যবহৃত জিনিস দুটি প্লাস্টিকে মুড়তে হবে। সেগুলি বিশেষভাবে সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে। তাঁর আশঙ্কা এর ফলে মানুষ তো বটেই গবাদিপশুও রেহাই পাবে না। আর এরপরই পরিবেশ আদালত মুখ্যসচিবকে গাইডলাইন কতটা প্রয়োগ করা হচ্ছে তা উল্লেখ করে বিষদে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন। পরিবেশ দফতরও রিপোর্ট দেবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, জুলাই মাসে মামলাটির ফের শুনানির হবে।