'মুসলিম প্রধান দেশেও রামের উপাসনা হয়, এটাই রামায়ণের মাহাত্ম্য'

তিনি বলেন, "যেভাবে ভগবান রামের জয়ে সকলে একসঙ্গে প্রচেষ্টা করেছিলেন, যেভাবে সকলে স্বাধীনতার লড়াইয়ে গান্ধীজির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই আজ দেশবাসীর প্রচেষ্টায় রামমন্দির তৈরির কাজ সম্পন্ন হল।"

Edited By: অধীর রায় | Updated By: Aug 5, 2020, 03:41 PM IST
'মুসলিম প্রধান দেশেও রামের উপাসনা হয়, এটাই রামায়ণের মাহাত্ম্য'

নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার অযোধ্যার রামমন্দিরের ভূমিপুজোর পর ভাষণে বিশ্বজুড়ে রামায়ণের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, এমন কি মুসলিম দেশেও রামায়ণের অস্তিত্বের কথা তুলে ধরলেন তিনি।

মোদী জানান, রাম আসলে ঐক্যের প্রতীক। তিনি বলেন, "যেভাবে ভগবান রামের জয়ে সকলে একসঙ্গে প্রচেষ্টা করেছিলেন, যেভাবে সকলে স্বাধীনতার লড়াইয়ে গান্ধীজির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই আজ দেশবাসীর প্রচেষ্টায় রামমন্দির তৈরির কাজ সম্পন্ন হল।"

এর পরেই রামের সর্বজনীনতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "যে রাম তুলসীর রাম, যে রাম গুরু নানকের রাম, যে রাম কবীরের রাম- সেই রামই জড়িত ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে, আবার এই রামই স্বাধীনতার লড়াইয়ে মহাত্মা গান্ধীর ভজনের রাম হিসাবে মনোবল জুটিয়েছেন। রাম আসলে দেশের বিবিধের মাঝে ঐক্যের প্রতীক।

আরও পড়ুন: রাম মন্দির স্থাপনের ফলে অযোধ্যার অর্থনীতির ভোল পাল্টে যাবে: মোদী

এর পরেই দেশের বিভিন্ন ভাষায় লেখা রামায়ণের কথা তুলে ধরেন তিনি। শুধু তাই নয়, দেশের বাইরে বিদেশেও যেভাবে নানা ভাষায় রামায়ণ লেখা হয়েছে, তার উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, "বিশ্বের সর্বাধিক ইসলাম আধিক্যযুক্ত দেশ ইন্দোনেশিয়া। সেখানেও যোগেশ্বর রামায়ণ, সোমেশ্বর রামায়ণের মতো রচনা রচিত হয়েছে। শুধু সেকালেই নয়, আজও সেখানে রামায়ণ আছে।" শুধু তাই নয়, ইরান ও চিনেও রামকথার বিবরণ রয়েছে, জানান প্রধানমন্ত্রী। আর এই কারণেই রামায়ণ ও রাম শুধু এ দেশের নয়, সমগ্র বিশ্বের কাছে ঐক্যের নাম, বলেন তিনি।

.