নিজে একবেলা খান, কুকুরদের দুবেলা পেট ভরে খাওয়ান, এমন মানুষও আছেন!

পরিচারিকার কাজ করেন মিনা। ২১ বছর ধরে পোষা কুকুরদের সঙ্গেই থাকেন তিনি। আপন বলতে তারাই।

Updated By: May 27, 2020, 03:15 PM IST
নিজে একবেলা খান, কুকুরদের দুবেলা পেট ভরে খাওয়ান, এমন মানুষও আছেন!

নিজস্ব প্রতিবেদন— নিজে একবেলা খান। কিন্তু পোষ্য কুকুরকে খাওয়ান দুবেলা। এমন মানুষও আজকাল আছেন নাকি! এমন অনেকেই আছেন সারা দেশে ছড়িয়ে। তবে সব সময় তাঁরা প্রচারের আলোয় আসেন না। কুকুর তার মালিককে নিস্বার্থভাবে ভালবাসে। অনেক সময় অনেক সময় মালিকও তাঁর প্রিয় পোষ্যদের ভালবাসে নিস্বার্থভাবে। চেন্নাইয়ের মিনা তেমনই একজন মানুষ। তাঁর ১৩টি পোষা কুকুর। প্রতিটিকেই তিনি রাস্তা থেকেই তুলে এনে নিজের কাছে রেখেছেন। কিন্তু ১৩টি কুকুরকেই তিনি তাঁর সন্তানের মতো ভালবাসেন। তাদের দুবেলা করে খাওয়ান। অভাবের সংসার। তাই বেশিরভাগ দিনই নিজের একবেলার বেশি খাবার জোটে না। কিন্তু নিজের সন্তানদের কখনও অভুক্ত রাখেন না মিনা।

পরিচারিকার কাজ করেন মিনা। ২১ বছর ধরে পোষা কুকুরদের সঙ্গেই থাকেন তিনি। আপন বলতে তারাই। দুটি ঘরে থাকে সবাই মিলে। এমনিতে দুঃখে—কষ্টে জীবন ভালই কাটছিল। এর মধ্যে লকডাউন যেন সব এলোমেলো করে দিল। কাজ হারালেন মিনা। যাঁদের বাড়িতে এত বছর ধরে কাজ করেন তাঁরা এই চরম দুঃসময় পাশে দাঁড়ালেন না। একটা মাসের মাইনে অগ্রিম চাইতে গিয়েছিলেন মিনা। সবাই দেননি। কিন্তু কয়েকটি বাড়ি সাহায্য করেছে তাঁকে। অ্যাডভান্স হিসাবে যে টাকা তিনি পেয়েছেন তা দিয়ে ১৩টি পোষ্যের জন্য খাবার কিনে রেখেছেন মিনা। যাতে এই লকডাউনের সময় তাঁর সন্তানদের না খেয়ে থাকতে যেন না হয়। তার জন্য নিজের দুবেলা খাবার জুটছে না মিনার। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তাঁর।

আরও পড়ুন— স্টেশনে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিক মায়ের দেহ, 'ঘুম' থেকে তুলতে চাদর নিয়ে খেলে যাচ্ছে দুধের শিশু!

গোটা জীবন কুকুরদের দেখাশোনা করেই কাটিয়েছেন মিনা। রাস্তার কুকুরদেরও সামর্থ অনুযায়ী খাওয়ান তিনি। মিনা বলছিলেন, ''আমি ওত খেতে ভালবাসি না। যা পাই আমার পোষ্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিই। তবে এখন লকডাউন। কাজ নেই। তাই বেশিরভাগ দিন একবেলা খাই। ওরা দুবেলা খায়। আমার এতেই শান্তি। আমি রাস্তার অনেক কুকুরকেও খেতে দিই রোজ। তবে এখন আর চালাতে পারছি না। সব কিছু আগের মতো না হলে ওদের কী করে খেতে দেব!''

.