মধ্যযুগীয় বর্বরতা: ওড়িশায় ডাইনি সন্দেহে নগ্ন করে অকথ্য অত্যাচার প্রৌঢ়ার উপর
মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল ওড়িশা। ময়ূরভঞ্জে এক প্রৌঢ়াকে ডাইনি সন্দেহে মারধর করে নগ্ন করে হাঁটতে বাধ্য করা হল।
ভুবনেশ্বর: মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল ওড়িশা। ময়ূরভঞ্জে এক প্রৌঢ়াকে ডাইনি সন্দেহে মারধর করে নগ্ন করে হাঁটতে বাধ্য করা হল।
ময়ূরভঞ্জ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে জোড়াপোখরি গ্রামে রবিবার অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে। নগ্ন অবস্থায় বছর ষাটেকের ওই মহিলাকে প্রায় ১২ ঘণ্টা পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে নিগৃহীতাকে উদ্ধার করার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিসের অ্যাডিশনাল ডিসট্রিক্ট সুপারিনটেনডেন্ট জি সি মালিক জানিয়েছেন গত ২৩ জুলাই সরকারি হাসপাতালে ওই গ্রামের ১৮ বছরের এক তরুণের ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।
ছেলেটির পরিবার দাবি করে ডাইনি বিদ্যার কবলে পড়েই ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। তারা ছেলেটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে অস্বীকার করে। অনান্য গ্রামবাসীদের সঙ্গে ছেলেটির পরিবার গ্রামের তিন মহিলাকে ডাইনি সন্দেহে ঘেরাও করে। তাদের কাছে দাবি করে মৃতের জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার।
ধর্মীয় আচার আচরণ পালনের সময় এক মহিলা পালানোর চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলে। ১৮ বছরের ওই তরুণকে হত্যার অভিযোগ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর নগ্ন করে ওই প্রৌঢ়াকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
১২ঘণ্টা ওই অবস্থায় থাকার পর পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিগৃহীতা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জোড়াপোখরি গ্রামে বর্তমানে ১০০জন সশস্ত্র পুলিস নিয়োগ করা হয়েছে।