পশ্চিমবঙ্গের ২০২১-এর বিধানসভা ভোট কি রাষ্ট্রপতি শাসনে!

এই প্রশ্নটাই এখন বড়  হয়ে দেখা দিয়েছে। গতকাল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন। সেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, এই রাজ্য সরকারকে রেখে কোনও ভাবেই ভোট  করা যাবে না। অনুরূপ একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনকেও দেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ২১-এর বিধানসভা ভোটে সব মানুষ যাতে ভোট  দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা তিনি করবেন। দিলীপ ঘোষের চিঠি এবং রাজ্যপালের এই বক্তব্য একযোগে কি কার্যত পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে? 

Updated By: Sep 23, 2020, 02:06 PM IST
পশ্চিমবঙ্গের  ২০২১-এর বিধানসভা ভোট কি রাষ্ট্রপতি শাসনে!

নিজস্ব প্রতিবেদন: এই প্রশ্নটাই এখন বড়  হয়ে দেখা দিয়েছে। গতকাল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন। সেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, এই রাজ্য সরকারকে রেখে কোনও ভাবেই ভোট  করা যাবে না। অনুরূপ একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনকেও দেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ২১-এর বিধানসভা ভোটে সব মানুষ যাতে ভোট  দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা তিনি করবেন। দিলীপ ঘোষের চিঠি এবং রাজ্যপালের এই বক্তব্য একযোগে কি কার্যত পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে? 

মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে রাজ্যের তিন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা এবং এ রাজ্যে বিজেপির  দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন এবং শিবপ্রকাশের বৈঠক হয়। বৈঠক হয় দিল্লিতে নাড্ডার বাড়িতেই। 

এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পরিস্থিতি। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই সওয়াল করেন। তাঁদের বক্তব্য মূলত দুটি। প্রথমত, এ রাজ্যে যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসতে চাইছেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকলে তাঁরা সেটা নির্ভয়ে করতে পারবেন। পুলিশ তাঁদের কোনও কেস দিতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রপতি শাসন থাকলে এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন  তৃণমূলকে সাহায্য করতে পারবে না, তারা বিজেপিকেই সাহায্য করবে। তখন তা এ রাজ্যে সরকারে আসার ক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষে বেশ বড় একটা সুবিধাজনক পরিস্থিতি হয়ে উঠবে।

এক সময়ে অবশ্য রাজ্য বিজেপির নেতারা মনে করতেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শহিদ হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে তাঁরা তাঁদের পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। 

নাড্ডাজির বাড়িতে আলোচনার মূল অভিমুখ ছিল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনের আগে বাকি কমাস রাজ্য বিজেপির আন্দোলনের সমস্ত অভিমুখ হবে এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খললার পরিস্থিতি।        

.