দূষিত গঙ্গাজলের জন্য সিগারেটের প্যাকেটের মতো সতর্কীকরণ নয় কেন, প্রশ্ন গ্রিন ট্রাইবুন্যালের

একশো কিলোমিটার অন্তর একটা বোর্ড টাঙ্গিয়ে জানানো উচিত ওই এলাকায় গঙ্গার জল পানের ‌যোগ্য কিনা, মন্তব্য গ্রিন ট্রাইবুন্যালের

Updated By: Jul 27, 2018, 08:12 PM IST
দূষিত গঙ্গাজলের জন্য সিগারেটের প্যাকেটের মতো সতর্কীকরণ নয় কেন, প্রশ্ন গ্রিন ট্রাইবুন্যালের

নিজস্ব প্রতিবেদন: গঙ্গা দূষণ নিয়ে একাধিকবার বিরক্তি প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। দেশের বিভিন্ন মহল থেকেও এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।  এবার এনিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলে দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে হরিদ্বার থেকে উত্তরাখণ্ডের উন্নাও প‌র্যন্ত গঙ্গার জল পান ও স্নানের অ‌যোগ্য। এনিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল। তাদের মতে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধাবশত গঙ্গার জলে স্নান করে ও পানও ফেলে। তারা জানেই না এতে তাদের কী ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন-সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন, এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রাইমারি বোর্ডকে

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের একটি কমিটির জানিয়েছে, ‘সাধারণ মানুষ গঙ্গার জলে স্নান করে ও তা পান করে থাকে। এরা জানেই না এতে তাদের কী ক্ষতি হচ্ছে। ‌যদি সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কীকরণ হিসেবে সিগারেট পান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর লেখা থাকতে পারে তাহলে গঙ্গার জলের জন্য কেন নয়। বিষয়টি সাধারণ মানুষকে জানানো প্রয়োজন।’

ট্রাইবুন্যালের একটি বেঞ্চের প্রধান এ কে গোয়েল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে শ্রদ্ধার কারণে মানুষ গঙ্গার জল পান করে থাকে। মানুষের বাঁচার অধিকারের কথা মাথায় রেখে তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’ ট্রাইবুন্যাল জাতীয় গঙ্গা সাফাই অভি‌যানকে নির্দেশ দিয়েছে, একশো কিলোমিটার অন্তর একটা বোর্ড টাঙ্গিয়ে জানানো উচিত ওই এলাকায় গঙ্গার জল পানের ‌যোগ্য কিনা।

আরও পড়ুন-স্বামীকে ফের অসুস্থ করে দেওয়ার হুমকি, তান্ত্রিকের চাপে আত্মঘাতী বধূ

উল্লেখ্য, দেশের ৫ রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা। এই গঙ্গা বহুদিন ধরেই দূষিত হয়ে চলেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ওই দূষণের হাত থেকে দেশের প্রধান নদীটিকে বাঁচানো ‌যায়নি। দূষণের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছে এর প্রধান কারণ গৃহস্থালীর নোংরা জল। দৈনিক ২,৭২৩ মিলিয়ন লিটচার দূষিত জল গঙ্গার মিশছে। দূষণের প্রধান কারণই হল এই পয়ঃপ্রণালীর জল।

.