বিষাদের আলোতে স্বাগত ২০১৩
বর্ষবরণে মাতল গোটা দেশ। তবে, দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের জেরে থমকে গেল উত্সবের উচ্ছ্বাস। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আগে মোমবাতি মিছিলে সামিল হল দিল্লি। বহু জায়গায় বাতিল হয়ে গেল একতিরিশে ডিসেম্বর রাতের অনুষ্ঠান। বর্ষবরণের রাতে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়েও বারবার ফিরে এল দিল্লিকাণ্ডের স্মৃতি।
বর্ষবরণে মাতল গোটা দেশ। তবে, দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের জেরে থমকে গেল উত্সবের উচ্ছ্বাস। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আগে মোমবাতি মিছিলে সামিল হল দিল্লি। বহু জায়গায় বাতিল হয়ে গেল একতিরিশে ডিসেম্বর রাতের অনুষ্ঠান। বর্ষবরণের রাতে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়েও বারবার ফিরে এল দিল্লিকাণ্ডের স্মৃতি।
পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়া। দুহাজার তেরোকে স্বাগত জানাল গোটা দেশ। তবে, বর্ষবরণের রাতে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে মিশে রইল বিষাদ। গণধর্ষণকাণ্ডে মৃত তরুণীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি হাতে পথ হাঁটল দিল্লি। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্তর-মন্তর। বছরের শেষ রাতেও উঠল দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি। সরকার-বিরোধী স্লোগান।
মুত্যুর সঙ্গে তেরো দিনের অসম যুদ্ধে হেরে যাওয়া তরুণীর জন্য শোক ? নাকি, নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা ? বর্ষবরণের রাতে দিল্লির বহু রেস্তোরাঁই ছিল খালি। প্রায় জনশূন্য কনট প্লেস। একাধিক পাঁচতারা হোটেলে বাতিল করা হয় নিউ ইয়ার পার্টি।
মায়ানগরীতেও অচেনা ছবি। বার, নাইট ক্লাব, রেস্তোরাঁয় ভিড় থাকলেও বর্ষবরণের রাতে রাস্তা ছিল প্রায় ফাঁকা। দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে তরুণীর মৃত্যুর পর আতঙ্কিত, ব্যথিত আমচি মুম্বই।
বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা বর্ষবরণের উত্সবে মাতলেও বহু জায়গাতেই উচ্ছ্বাসের মাত্রা ছিল কম। দিল্লির মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে। এই আশা নিয়েই দুহাজার তেরোকে স্বাগত জানালেন দেশবাসী।