বিজয় মালিয়াকে ভারতে ফেরাতে সম্মতি দিল ব্রিটেনের আদালত
বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যপর্ণে আর কোনও বাধা থাকল না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মিশেলের পর আরও একটা সাফল্য পেল মোদী সরকার। বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণে আর কোনও বাধা থাকল না। মালিয়াকে ভারতে ফেরাতে আপত্তি নেই ব্রিটেনের আদালতের। ব্রিটেনের আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিবিআই। তবে এই রায় চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ থাকছে মালিয়ার। মালিয়াকে প্রত্যর্পণে লন্ডনে রওনা দিয়েছিল সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা এ সাই মনোহরের নেতৃত্বে সিবিআই এবং ইডির যৌথ একটি দল।
অতিসম্প্রতি ঋণ শোধের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। বলেছিলেন,''আমি টাকা ফেরাতে চাই। টাকা চুরির যে অভিযোগ উঠেছে, তা থামাতে চাই''। তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি আদালতের কাছে ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আদালতের তত্ত্ববধানে সেই সম্পত্তি বিক্রি করে সমস্ত ঋণ শোধ করার কথা বলেছিলেন। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তাঁর দাবি, সরকারের তরফ থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে তাঁর প্রস্তাব অগ্রাহ্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর প্রস্তাব, ব্যাঙ্কগুলিকে ১০০ শতাংশ মূলধন উদ্ধার করার সুযোগ দেওয়া হোক, যাতে সাধারণের অর্থের কোনও ক্ষতি না হয়। ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর নেওয়া ঋণের সুদের অর্থের কী ভবিষ্যত্ হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আদালতের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, এক বছর আগে লন্ডনে গ্রেফতার হন বিজয় মালিয়া। এর পর গত বছর ডিসেম্বর থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মালিয়ার বিচার শুরু হয়। ভারত প্রত্যর্পণের দাবি তুললে, মালিয়া অভিযোগ করেন স্বাস্থ্যকর জেল নেই এ দেশে। মালিয়ার জন্য বিশেষ জেলের ব্যবস্থার আশ্বাসও দেওয়া হয় ভারতের তরফে। ভারত কূটনৈতিক স্তরে যেভাবে চাপ সৃষ্টি করছে, মালিয়ার প্রত্যর্পণে পক্ষে রায় আসার সম্ভবনা প্রবল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই আভাস বুঝেই কি ১০০ শতাংশ ঋণ মিটিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মালিয়া? জল্পনা যাই হোক না কেন লোকসভা নির্বাচনের আগে মালিয়াকে দেশে ফেরাতে পারলে রাজনৈতিক পরিসরে মোদী সরকার বাড়তি অক্সিজেন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মিশেলের পর পাকড়াও মালিয়া-নীরব? জি-২০-তেই এই ঘুঁটি সাজিয়ে এসেছেন মোদী