উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজয় বহুগুণা
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের পরাজয়ের দায় নিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন বোন রীতা বহুগুণা যোশি। উত্তরাখণ্ডে দলের জয়ের জন্য কিন্তু দাদা বিজয় বহুগুণাকেই পুরস্কৃত করল কংগ্রেস হাউকম্যান্ড। শেষ পর্যন্ত কোনও নির্বাচিত বিধায়কের উপর ভরসা না রেখে পশ্চিম হিমালয়ের পাহাড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হল তেহরি গাড়োয়ালের সাংসদকে।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের পরাজয়ের দায় নিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন বোন রীতা বহুগুণা যোশি। উত্তরাখণ্ডে দলের জয়ের জন্য কিন্তু দাদা বিজয় বহুগুণাকেই পুরস্কৃত করল কংগ্রেস হাউকম্যান্ড। শেষ পর্যন্ত কোনও নির্বাচিত বিধায়কের উপর ভরসা না রেখে পশ্চিম হিমালয়ের পাহাড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হল তেহরি গাড়োয়ালের সাংসদকে।
এদিন রাতে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এআইসিসি'র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক গুলাম নবি আজাদ দলের এই সিদ্ধান্তর কথা ঘোষণা করেন। এর আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা করেন গুলাম নবি আজাদ, উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা চৌধুরি বীরেন্দর সিং-সহ দলের কোর কমিটির সদস্যরা। সকালে দিল্লিতে বিজয় বহুগুণার সঙ্গেও কথা বলেন আজাদ ও বীরেন্দর সিং। এদিন মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে গুলাম নবি আজাদ জানান, ৩ নির্দল এবং উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দলের ১ বিধায়কের পাশাপাশি বহুজন সমাজ পার্টির ৩ বিধায়কও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন জানাবে।
সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ৭০ আসনের উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় কংগ্রেস ৩২, বিজেপি ৩১ ও বহুজন সমাজ পার্টি ৩টি আসনে জিতেছে। শনিবার ৩ নির্দল এবং ইউকেডি`র সবেধন নীলমনি বিধায়কের সমর্থন মেলার পরই রাজ্যপাল মার্গারেট আলভার কাছে সরকার গড়ার দাবি জানায় কংগ্রেস। কিন্তু কোনওক্রমে ম্যাজিক ফিগার জোগাড় করার পর সে ভাবে আলোচিতই হয়নি ৬৬ বছরের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিজয় বহুগুণার নাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরিশ রাওয়াত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যশপাল আর্য, বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হরক সিং রাওয়াত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গোড়োয়ালের সাংসদ সতপাল মহারাজ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ইন্দিরা হৃদেশের মতো হেভিওয়েটদের নামই সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বারবার আলোচনায় উঠে আসছিল। সেদিক থেকে অবিভক্ত উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমবতী নন্দন বহুগুণার ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বড় চমক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আর এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে প্রবল দলীয় অন্তর্কলহকেই।