দুধের শিশুকে নিয়েই ডিউটিতে, সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি ভাইরাল হতেই টনক নড়ল কর্তাদের
অর্চনা কাজ করতেন ঝাঁসির একটি থানার রিসেপশনে। বাড়িতে বাচ্চা দেখার কেউ নেই। স্বামী থাকেন গুরুগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা অসীম। এর দৌলতেই উত্তর প্রদেশে এক মহিলা কনস্টেবলের সমস্যা মিটল কয়েক দেনর মধ্যেই।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশিত হয় ঝাঁসির পুলিস কনস্টেবল অর্চনা জয়ন্তের। ছবিটি পোস্ট করেছিলেন তাঁর সিনিয়র রাহুল শ্রীবাস্তব। ছবিটি ছিল অর্চনা তাঁর ৬ মাসের বাচ্চাকে ডেস্ক শুইয়ে রেখেছেন। পাশ দাঁড করানো দুধের বোতল। নিজে মগ্ন ফাইলে। ওই ছবি প্রকাশ হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্যজুড়ে।
The quintessential 21st century woman, an ace at any responsibility she is trusted with! Had a conversation with Archana this morning & ordered her transfer to Agra, closer home! The lil one brightening Jhansi Pstn, has inspired us to explore crèche options at every Police line pic.twitter.com/hx8b54Bcb5
— DGP UP (@dgpup) October 28, 2018
আরও পড়ুন-‘দীপাবলির আলো ছড়াচ্ছেন আপনারা’, জাপানে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রশংসা মোদীর মুখে
অর্চনা কাজ করতেন ঝাঁসির একটি থানার রিসেপশনে। বাড়িতে বাচ্চা দেখার কেউ নেই। স্বামী থাকের গুরুগ্রামে। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়েছে কানপুরে। বাবা-মা থাকেন আগ্রায়। ওই ছবি দেখার পরই অর্চনাকে আগ্রায় বদলি করে দেন রাজ্যের ডিজিপি ওম প্রকাশ সিং।
ওম প্রকাশ সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ওই ছবি দেখা পর আমি ঝাঁসির আইজির সঙ্গে কথা বলি। জানতে পারি অর্চনা খুবই পরিশ্রমী। সন্তানের জন্য ছুটি না নিয়েই ডিউটি করছেন। ওর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ওকে ওর পরিবার কোনওভাবেই সাহায্য করে না।
আরও পড়ুন-ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিপত্তি, ১৮৮ যাত্রী নিয়ে সমুদ্রে ভেঙে পড়ল বিমান
অর্চনার সমস্যার কথা বলতে গিয়ে ওম প্রকাশ সিং বলেন, ওর বাবা-মা থাকেন আগ্রায়। শ্বশুরবাড়ি কানপুরে। বোনও থাকে কানপুরে। কিন্তু ওখানে অর্চনাকে ট্রান্সফার করা যাবে না কারণ ওখানে ওর শ্বশুরবাড়ি। শেষপর্যন্ত ও বলে ওকে আগ্রায় ট্রান্সফার করা হলেও চলবে। ওর কথা মতো ওকে আগ্রাতেই ট্রান্সফার করে দিয়েছি।
সংবাদামধ্যমে অর্চনা জানিয়েছেন, এবার বড় মেয়ে কনককে আগ্রায় আনব। বহুদিন বাবা-মা, স্বামীর সঙ্গে দেখা হয়নি। এবার দীপাবলিতে ওদের সঙ্গে থাকতে পারব। ঝাঁসিতে বহু সমস্যা হতো। কিন্তু সহকর্মীরা আমাকে খুবই সহায়তা করেছেন।