গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি, আজ থেকে পরীক্ষামূলক দৌড় শুরু করছে ট্রেন ১৮
ট্রেনটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। গোটা ট্রেনটাই স্টেইনলেস স্টিলের। সবকটি কোচই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
নিজস্ব প্রতিবেদন: জল্পনার অবসান। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রয়ুক্তিতে তৈরি ট্রেন ১৮ এর পরীক্ষমূলক যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ। সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।
ট্রেনটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার এ মানি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২৯ অক্টোবর ট্রেনের যাত্র শুরু হবে। আগামী ২-৩ মাস পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে এই ট্রেন। পরীক্ষায় সফল হলে এটিকে যাত্রী পরিবহণের কাজে লাগানো হবে।
আরও পড়ুন-‘দীপাবলির আলো ছড়াচ্ছেন আপনারা’, জাপানে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রশংসা মোদীর মুখে
গতি ঘণ্টায় যদি ১৬০ কিলোমিটার হয় তাহলে কি শতাব্দীর মতো দ্রুতগতির ট্রেনের ছুটি হয়ে যাবে? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। কোনও কোনও মহল থেকে সেটাই এখন বলা শুরু হয়েছে।
ট্রেনটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। গোটা ট্রেনটাই স্টেইনলেস স্টিলের। সবকটি কোচই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এটিতে থাকছে মোট ১৬টি চেয়ারকার কোচ। এর মধ্যে ১৪টি নন একজিকিউটিভ ও ২টি একজিকিউটিভ চেয়ার কার। একজিকিউটিভ চেয়ার কারে বসতে পারবেন ৫৬ জন যাত্রী। নন একজিকিউটিভ চেয়ারকারে বসার জায়গা রয়েছে ৭৮ জনের।
আরও পড়ুন-ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিপত্তি, ১৮৮ যাত্রী নিয়ে সমুদ্রে ভেঙে পড়ল বিমান
ট্রেনটিকে সম্ভবত চালানো হবে দিল্লি-আগ্রা-ভোপাল রুটে। মাত্র ১৬ মাসে ট্রেনটি তৈরি করে ফেলেছে চেন্নাইয়ের ইন্ট্রিগাল কোট ফ্যাক্টরি। ট্রেনটি চালাতে পৃথক কোনও ইঞ্জিন লাগে না। প্রতিটি কোচেই থাকছে ইঞ্জিন। একজিকিউটিভ ক্লাসে প্রতিটা আসন ঘোরানো যাবে। জানালা অন্যান্য ট্রেনের থেকে অনেকটাই বড়। প্রতিটি কামরায় থাকছে এলইডি লাইট। থাকছে লাগেজ র্যাক। এছাড়াও ট্রেনটিতে রাখা হয়েছে ওয়াইফাই ব্যবস্থা, জিপিএস বেসড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম, মডিউলার টয়লেট।