যোগী রাজ্যে জন্ম নিল 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর'
উত্তরপ্রদেশের এক গ্রাম ঢুকে গেল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। গ্রামের নাম সিমরানপুর। তবে কানপুর জেলার এই গ্রাম সত্যি সত্যি পাকিস্তান দ্বারা অধিকৃত, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। আসলে দীর্ঘ বঞ্চনার ফলে যোগী রাজ্যের এই গ্রাম এখন কার্যত নেই রাজ্য। গ্রামের মানুষরা খবরের কাগজে পড়েছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কী অপরিসীম অবহেলা ও বঞ্চনাকে সঙ্গী করে দিনাতিপাত করতে হয় তার বর্ণনা। আর সেখান থেকেই তাঁদের উপলব্ধি, তাঁদের বাস্তবিক অবস্থাও পাকি অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের অনুরূপ। আর সেখান থেকেই সিমরানপুর থেকে নিজেদের গ্রামের নাম বদলে 'PoK বা পাক অধিকৃত কাশ্মীর' করে ফেলেছেন বঞ্চিত প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই নাম পরিবর্তন আসলে তাদের তরফে এক বিদ্রহ। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের একটা উপায়। যতদিন না অবস্থা বাঁচার অনুকুল হবে, ততদিন তাঁরা এই নামেই নিজেদের গ্রামকে পরিচয় দেবেন।
ওয়েব ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের এক গ্রাম ঢুকে গেল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। গ্রামের নাম সিমরানপুর। তবে কানপুর জেলার এই গ্রাম সত্যি সত্যি পাকিস্তান দ্বারা অধিকৃত, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। আসলে দীর্ঘ বঞ্চনার ফলে যোগী রাজ্যের এই গ্রাম এখন কার্যত নেই রাজ্য। গ্রামের মানুষরা খবরের কাগজে পড়েছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কী অপরিসীম অবহেলা ও বঞ্চনাকে সঙ্গী করে দিনাতিপাত করতে হয় তার বর্ণনা। আর সেখান থেকেই তাঁদের উপলব্ধি, তাঁদের বাস্তবিক অবস্থাও পাকি অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের অনুরূপ। আর সেখান থেকেই সিমরানপুর থেকে নিজেদের গ্রামের নাম বদলে 'PoK বা পাক অধিকৃত কাশ্মীর' করে ফেলেছেন বঞ্চিত প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই নাম পরিবর্তন আসলে তাদের তরফে এক বিদ্রহ। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের একটা উপায়। যতদিন না অবস্থা বাঁচার অনুকুল হবে, ততদিন তাঁরা এই নামেই নিজেদের গ্রামকে পরিচয় দেবেন।
ঘটমপুরের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সিমরানপুর তথা অধুনা 'পাক অধিকৃত কাশ্মীরে' শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত্, রাস্তা এসব প্রায় কিছুই নেই বললে চলে। যেটুকু রয়েছে আর যে অবস্থায় রয়েছে তা নেই বলাই শ্রেয়।
সেই কল।
গ্রামে রয়েছে একটি মাত্র হ্যান্ড টিউবওয়েল। তাতে বাঁধা থাকে গরু বাছুর। কারণ, গত আট বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে কল। বর্তমান বিজেপি বিধায়ক অভিজিত্ সিং-কে করুণ পরিস্থিতির কথা জানালেও কাজ হয়নি। সব সমস্যার কথা সবিস্তারে জানানো হয়েছিল প্রাক্তন সমাজবাদী বিধায়ক মুনিদ্র শুক্লাকেও, তিনিও কোনও পদক্ষেপ নেননি। অবস্থা এমন হয়েছে যে এই গ্রামের ছেলে বা মেয়েদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার কেউ বৈবাহিক সম্পর্কেও যেতে চান না। সব মিলিয়ে বেঁচে থাকাই দায়। তাই ক্ষুব্ধ প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের সিদ্ধান্ত যত দিন না সুরাহা মেলে ততদিন গ্রামের পরিচয় হোক 'উত্তরপ্রদেশের পাক অধিকৃত কাশ্মীর'। সত্যিই ক্ষোভ কতটা জমাট বাঁধলে তবেই নিজের জন্মভূমির নাম বদলে যায় রাগে, ক্রোধে, হতাশায়। (আরও পড়ুন- বিয়েতে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার পথে উত্তরপ্রদেশ)