লকডাউন শেষ হওয়ার পরও রেল-উড়ান চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম
রেল ও বিমান পরিষেবা এক ধাক্কায় চালু করে দেওয়া হলে পুনরায় সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩ মে-এর পর থেকেই কী ধীরে ধীরে চালু হবে যাত্রীবাহি বিমান ও রেল পরিষেবা? এই প্রশ্নই এখন আমজনতার। বিশেষ করে বেড়াতে বা কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া ব্যক্তিরা মুখিয়ে আছেন এই দিনটির দিকে তাকিয়ে। কিন্তু ৩ মে-এর পরেই রেল-উড়ান একেবারে চালু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ এমনটাই খবর একাধিক সূত্রের।
এমন জল্পনার কারণ কী? যাত্রীবাহি বিমানসংস্থাগুলিকে এখনও ৩ মে-এর পর থেকে কোনও বুকিং নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সে ক্ষেত্রে ৩ মে থেকে বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও স্থির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি তা বলাই যায়।
শুধু তাই নয়, শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাড়িতে মন্ত্রীদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল বিমান ও রেল পরিষেবা চালু করা। রেল ও বিমান পরিষেবা এক ধাক্কায় চালু করে দেওয়া হলে পুনরায় সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে দেওয়া হয়।
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালু সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অথচ তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এয়ার ইন্ডিয়া তাদের ওয়েবসাইটে জানায় ৪ মে থেকে নির্দিষ্ট কিছু আভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। সেই সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া জানায় জুন মাসের শুরু থেকে নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক রুটে পরিষেবা চালু করা হবে। আর তার ফলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়ায় বিভ্রান্তি।
সেই বিভ্রান্তি এড়াতেই টুইট করেন বাণিজ্যিক অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। টুইটে তিনি স্পষ্ট জানান, এখনও তাঁর মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি আরও লেখেন, "এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরেই বিমান সংস্থাগুলিকে তাদের বুকিং শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"
The Ministry of Civil Aviation clarifies that so far no decision has been taken to open domestic or international operations.
Airlines are advised to open their bookings only after a decision in this regard has been taken by the Government.@MoCA_GoI @DGCAIndia @AAI_Official
— Hardeep Singh Puri (@HardeepSPuri) April 18, 2020
এদিকে দীর্ঘদিন বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছে অসামরিক বিমান সংস্থাগুলি। বহুদিন ধরে ব্যবসা বন্ধ রেখেই বিনা আয়ে বেতন দিতে গিয়ে চাপে বিমানসংস্থাগুলি। তাছাড়াও বিমান না চললেও তার বিপুল পরিমাণ খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে বেজায় চাপে বিমানসংস্থাগুলি। ইন্ডিগোর মতো বড় বিমানসংস্থাও তাদের কর্মীদের বেতনে কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছে। একই অবস্থা স্পাইসজেট ও এয়ার ইন্ডিয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাস রুখতে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা যে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষাবিধি, তা বলাই বাহুল্য।