কঠিন সময় আসছে মোদীর, বর্ষা নিয়েও হবে সমস্যা, ভবিষ্যতবাণী 'ঘাট মান্দানি'র

দেশে এবার অনিশ্চিত বর্ষার মতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনেও আসতে চলেছে কঠিন সময়। খরা আর তীব্র জলকষ্টে জেরবার মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের অভাব আর গরমে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গালায় মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ যখন বরুণদেবের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, তখনই আশার কথা শুনিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। বলেছিল, সাধারণের তুলনায় এবার বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। বর্ষা আসার আগেই স্বস্তির হাসি ফুটেছিল দেশবাসীর মুখে। সেই সঙ্গে খরা মোকাবিলায় নিশ্চিন্তও হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

Updated By: May 11, 2016, 07:13 PM IST
কঠিন সময় আসছে মোদীর, বর্ষা নিয়েও হবে সমস্যা, ভবিষ্যতবাণী 'ঘাট মান্দানি'র

ওয়েব ডেক্স : দেশে এবার অনিশ্চিত বর্ষার মতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনেও আসতে চলেছে কঠিন সময়। খরা আর তীব্র জলকষ্টে জেরবার মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের অভাব আর গরমে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গালায় মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ যখন বরুণদেবের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, তখনই আশার কথা শুনিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। বলেছিল, সাধারণের তুলনায় এবার বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। বর্ষা আসার আগেই স্বস্তির হাসি ফুটেছিল দেশবাসীর মুখে। সেই সঙ্গে খরা মোকাবিলায় নিশ্চিন্তও হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

এপর্যন্ত সবটাই ঠিক ছিল। কিন্তু, সেই স্বস্তিতে বাধ সাধল 'ঘাট মান্দানি'। মহারাষ্ট্রের ভেন্দওয়াল গ্রামে ৩৫০ বছরের পুরনো এই রীতি বলছে বর্ষা সাধারণের তুলনায় বেশি তো হবেই না, বরং তা হবে অনিশ্চিত ভাবে। দেশের কয়েকটি রাজ্য এবার বেশি বৃষ্টি পেলেও, বহু রাজ্যেই বৃষ্টির মুখ দেখবে না বলে দাবি ঘাট মান্দানির।

কিন্তু, কি এই ঘাট মান্দানি?
নিময় অনুসারে প্রতি বছর মহারাষ্টের ওই গ্রামটিতে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পালন করা হয় ঘাট মান্দানি। একটি মাটির পাত্রে শষ্যদানা রেখে তা মাটির নিচে রাখা হয়। পরদিন সকালে দুই ধর্মগুরু সেখানে এসে ওই শষ্যদানা পরীক্ষা করার পরই তাঁরা সেবছরের বর্ষার ধরন সম্পর্কে জানিয়ে দেন। গ্রামবাসীদের দাবি ধর্মগুরুদের কথা প্রত্যেক বছরই মিলে যায়।

তবে, এবার তাদের ভবিষ্যবাণী শুধু বর্ষায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। ভেন্দওয়াল গ্রামের এক ধর্মগুরু জানিয়েছেন, এই অনিশ্চিত বর্ষার ফলে দেশের অর্থনীতিতে যেমন ভাটা আসবে, তেমনই প্রধানমন্ত্রীর সেচ নীতি নিয়েও দেখা দেবে নানা প্রশ্ন। দেশে আর্থিক ক্ষতির জন্য তাঁকেই দোষারোপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওই ধর্মগুরু।   

.