‘শ্রেষ্ঠ বিচারপতির রায়ও জনগণের কণ্ঠস্বরের সমান নয়’, শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি

সুপ্রিম কোর্টে রায়ের পর ১৬ অক্টোবর প্রথম মন্দির খুলছে। মহিলারা ঢুকতে গেলে শুয়ে পড়ে বাধা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে নানা সংগঠন। ফলে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখাটাই এখন কেরলের বাম সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

Updated By: Oct 8, 2018, 09:49 PM IST
‘শ্রেষ্ঠ বিচারপতির রায়ও জনগণের কণ্ঠস্বরের সমান নয়’, শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি

নিজস্ব প্রতিবেদন: সব বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নিয়ে বিক্ষোভের সুর ক্রমশ চড়ছিল। আজ শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল আবেদন। যদিও, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়িত করবে। বিক্ষোভের পিছনে সঙ্ঘের ইন্ধন রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

আরও পড়ুন- পুজো মানে শুধু ধর্ম নয়, পুজো মানে উত্সব: মমতা

ঋতুমতী মহিলাদের জন্য শবরীমালার দরজা বন্ধ রাখা যাবে না। ২৮ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর থেকেই কেরলে নানা জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। সে আঁচ পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। রাস্তায় নেমে জনমত গঠনের চেষ্টার সঙ্গেই এবার শুরু হল পাল্টা আইনি লড়াই। আয়াপ্পা ডিভোটিস অ্যাসোসিয়েশন এবং নায়ার সার্ভিস সোসাইটি নামে দুটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টেই, সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ঋতুমতী মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতে যাঁরা আবেদন জানান তাঁরা কেউ আয়াপ্পার ভক্ত নন। বরং আদালতের রায়ে আয়াপ্পার ভক্তদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। শ্রেষ্ঠ বিচারপতির রায়ও জনগণের কণ্ঠস্বরের সমান নয়। 

আরও পড়ুন- পরনে নেই কাপড়, না খেতে পেয়ে মর মর অবস্থা 'মা দুর্গার'

শবরীমালা নিয়ে রাজ্য সরকার যে সুপ্রিম কোর্টে যাবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বরং রায় কার্যকর করার জন্য এদিন বৈঠক ডাকেন তিনি।

তবে সেই বৈঠক বয়কট করেন মন্দিরের পুরোহিত এবং পাণ্ডালাম রাজ পরিবারের সদস্যরা। সুপ্রিম কোর্টের শবরীমালা রায়ের পর বিক্ষোভে সঙ্ঘের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজয়নের। এদিন, সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আগে তো ঋতুমতী মহিলাদের রান্নাঘরেও যেতে দেওয়া হতো না। এই ধরনের সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে বরাবর সমাজের ভিতর থেকেই বিদ্রোহ জেগেছে। শনি শিঙ্গনাপুর মন্দিরে মহিলাদের ঢুকতে দেওয়া নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায় তো মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারই কার্যকর করেছে। শবরীমালায় তারা দ্বিচারিতারই প্রমাণ দিচ্ছে। 

আরও পড়ুন- ‘তিনি আছেন এবং সর্বত্রই আছেন’

সুপ্রিম কোর্টে রায়ের পর ১৬ অক্টোবর প্রথম মন্দির খুলছে। মহিলারা ঢুকতে গেলে শুয়ে পড়ে বাধা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে নানা সংগঠন। ফলে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখাটাই এখন কেরলের বাম সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

 

 

 

 

 

 

.