রয়েছে ১৯ জন ফাঁসির আসামি, কিন্তু ফাঁসুড়ে নেই দেশের বৃহত্তম জেলে
দেশের বৃহত্তম জেলে নেই কোনও ফাঁসুরে। অথচ সেখানেই রয়েছেন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন অপরাধী। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে তিহার জেল সম্পর্কে এমনই চমকপ্রদ খবর সামনে এসেছে। ১৯৫৭ সালে তৈরি হওয়া এই জেলে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে উল্লেখ নেই কোনও ফাঁসুরের নাম ও পদ। কিন্তু ফাঁসুরে ছাড়া কি জেল চলে! এই জেলেও এতদিন ছিলেন একাধিক ফাঁসুরে। কিন্তু সরকারি নথিতে তার কোনও চিহ্নই নেই।
ওয়েব ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম জেলে নেই কোনও ফাঁসুড়ে। অথচ সেখানেই রয়েছেন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন অপরাধী। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে তিহার জেল সম্পর্কে এমনই চমকপ্রদ খবর সামনে এসেছে। ১৯৫৭ সালে তৈরি হওয়া এই জেলে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে উল্লেখ নেই কোনও ফাঁসুড়ের নাম ও পদ। কিন্তু ফাঁসুড়ে ছাড়া কি জেল চলে! এই জেলেও এতদিন ছিলেন একাধিক ফাঁসুড়ে। কিন্তু সরকারি নথিতে তার কোনও চিহ্নই নেই।
কিন্তু ফাঁসুড়ে হওয়ার যোগ্যতা কী? জেলের আইন অনুসারে, মানসিকভাবে সুস্থ যেকোনও ব্যক্তি ফাঁসুড়ের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তিহারের জেল অফিসার আরও জানাচ্ছেন, "যেকোনও জেল অফিসারই ফাঁসি দিতে পারেন। ১৯৮৯ সালে একটি ফাঁসির জন্য মীরাট জেল থেকে এমনই একজনকে দক্ষিণা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল"। তিনিই জানান, ফাঁসি দেওয়ার ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক ২০০ টাকা।
এদিকে, দীর্ঘ তিন দশক ধরে তিহার জেলের আইনজীবী হিসাবে কাজ করা সুনীল গুপ্তার দাবি আবার একেবারেই অন্য রকম। তিনি বলছেন, "জেল আসলে এখন সংশোধনাগার। ফাঁসুড়ের মতো পদে কারওকে নিয়োগ করা হলে সংশোধনের উদ্দেশটাই মাঠে মারা যাবে। তিহারের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি যে অপরাধীরা সংশোধীত হতেই আসেন"। পাশাপাশি তাঁর আরও যুক্তি, ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিহারে একটিও ফাঁসি হয়নি। ফলে, কোনও ব্যক্তিকে ফাঁসুড়ে পদে বহাল করলে তাঁকে বিনা কাজে বেতন দিতে হত। (আরও পড়ুন- জেলে 'VIP সুবিধা' পেতে ২ কোটি টাকা ঘুষ ভি কে শশীকলার)