'সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তিকে জঙ্গি তকমা না দিলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়'
অমিত শাহ এদিন আরও বলেন, আমরা ইউএপিএ আইন সংশোধন নিয়ে সরকারকে সমর্থন করেছিলাম। কারণ আমরা বিশ্বাস করতাম সন্ত্রাস নিয়ে কড়া আইন আনা উচিত
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইউএপিএ আইন সংশোধন নিয়ে রাজ্যসভায় পি চিদম্বরমকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। গত ২৪ জুলাই লোকসভায় পাস হয়েছে ওই সংশোধনী বিল। নতুন এই আইনে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি বলে ঘোষণা করা যাবে।
আরও পড়ুন-খিদিরপুরে একই বাড়িতে তিন ভাই-বোনের রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার পচাগলা দেহ
শুক্রবার এনিয়ে পি চিদম্বরমকে নিশানা করলেন অমিত শাহ। চিদম্বরমের প্রশ্ন ছিল, কোনও গোষ্ঠীকে যখন জঙ্গি বলে ঘোষণা করা হচ্ছে তখন কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি তকমা দেওয়ার প্রয়োজন কী? এভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র।
Home Minister Amit Shah in Rajya Sabha: Chidambaram ji asked why to name an individual as a terrorist when the organization they are affiliated to is already banned. It is because we ban one org, another one comes up by same individuals. Till when will we keep banning orgs? #UAPA pic.twitter.com/0inu9k8Zzx
— ANI (@ANI) August 2, 2019
HM Amit Shah in Rajya Sabha: What happened during emergency? All media was banned, all opposition leaders were jailed. There was no democracy for 19 months, and you are accusing us of misusing laws? Kindly look at your past pic.twitter.com/dBQYwcDNZF
— ANI (@ANI) August 2, 2019
Amit Shah: When we were in opposition, we supported previous UAPA amendments, be it in 2004,'08 or '13 as we believe all should support tough measures against terror. We also believe that terror has no religion, it is against humanity,not against a particular Govt or individual pic.twitter.com/y6xqqLn83L
— ANI (@ANI) August 2, 2019
চিদম্বরমের প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহ বলেন, কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিলেই সমস্যার সমাধান হয় না। একটা জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করে দিলে অন্য একটি গজিয়ে যায়। তার মাথা হয়ে যায় আগের সংগঠনের প্রধান। কতদিন পর্যন্ত কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে যাবে সরকার?
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে চিদম্বরমকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, জরুরি অবস্থার সময়ে কী হয়েছিল? সব সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বিরোধী নেতাদের জেলে পোরা হয়েছিল। টানা ১৯ মাস দেশে কোনও গণতন্ত্র ছিল না। আর আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা বলছেন। নিজেদের অতীত ঘেঁটে দেখুন একবার।
আরও পড়ুন-দেড় বছরের মাথায় লালগড়ের সেই বাঘের অপমৃত্যুর তদন্তে কেন্দ্রীয় দল
অমিত শাহ এদিন আরও বলেন, ২০০৪, ২০০৮ কিংবা ২০১৩ আমরা ইউএপিএ আইন সংশোধন নিয়ে সরকারকে সমর্থন করেছিলাম। কারণ আমরা বিশ্বাস করতাম সন্ত্রাস নিয়ে কড়া আইন আনা উচিত। আমরা বিশ্বাস করতাম সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। এটি মানবিকতার শত্রু।