পরিবারের সম্মতিতেই সায় আদালতের, নির্যাতিতা ও আইনজীবীকে এখনই আনা হচ্ছে না দিল্লির এইমস-এ

এ দিন নির্যাতিতার কাকাকে রায়বরেলীর জেল থেকে তিহার জেলে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, নির্যাতিতার কাকাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের

Updated By: Aug 2, 2019, 01:04 PM IST
পরিবারের সম্মতিতেই সায় আদালতের, নির্যাতিতা ও আইনজীবীকে এখনই আনা হচ্ছে না দিল্লির এইমস-এ
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: এই মুহূর্তে নির্যাতিতার পরিবার চাইছেন না, লখনউ থেকে নির্যাতিতাকে দিল্লির এইমস-এ স্থানান্তরিত করতে। শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টে উন্নাও মামলায় নির্যাতিতাকে স্থানান্তরিত করা যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে, সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এ বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবী ইনটেনসিভ কেয়ারের থাকায় স্থানান্তরিত করতে রাজি নয় তাঁদের পরিবার। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীও জানান, নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেই চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। এরপরই এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

এ দিন নির্যাতিতার কাকাকে রায়বরেলীর জেল থেকে তিহার জেলে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, নির্যাতিতার কাকাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। গত রবিবারে নির্যাতিতার গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ায় জেল থেকেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ   করেছিলেন নির্যাতিতার কাকা। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুলদীপ সিং সেঙ্গার জেলে থেকেই এই ষড়যন্ত্র করে। সেঙ্গারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ তাঁর হাতে রয়েছে বলে দাবি করেন নির্যাতিতার কাকা।

উন্নাও মামলায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট –

গত বৃহস্পতিবার উন্নাও মামলার শুনানি শুনে বেজায় ক্ষুব্ধ হন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এ দিন সরকারকে ভর্তসনা করে একাধিক নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। সেগুলি হল-

আরও পড়ুন- উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা, ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

১)  নাবালিকাকে ধর্ষণ ও ট্রাকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ-সহ পাঁচটি মামলা উত্তর প্রদেশের বাইরে দিল্লির তিস হাজারি (পশ্চিম) আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। বিচারক ধর্মেশ শর্মার অধীনে চলবে বিচারকার্য।

২) সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ৪৫ দিনের মধ্যে ওই পাঁচটি মামলার রায় দিতে হবে। প্রতিদিন শুনানি হবে।

৩) ট্রাকে চাপা দিয়ে হত্যা করার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত মাত্র ৭দিনে শেষ করতে হবে। সরকার পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর তুষার মেহেতা মাসখানেক সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত স্পষ্ট করে, ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ১৫ মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

৪) সরকারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।  

.