এক ফোনে সরকার তৈরি হল গোয়ায়
মিহি স্বরে বাজছে মোবাইলটা। পকেট থেকে ফোন বের করে দেশের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি চোখ মোবাইল স্ক্রিনে। কলারের নাম অমিত শাহ। কী কথা হল, সেটা পরে জানা গেল। কিন্তু ওই একটা ফোন কলেই সরকার তৈরি হয়ে গেল গোয়াতে!
ওয়েব ডেস্ক: মিহি স্বরে বাজছে মোবাইলটা। পকেট থেকে ফোন বের করে দেশের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি চোখ মোবাইল স্ক্রিনে। কলারের নাম অমিত শাহ। কী কথা হল, সেটা পরে জানা গেল। কিন্তু ওই একটা ফোন কলেই সরকার তৈরি হয়ে গেল গোয়াতে!
১১ তারিখ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হতেই বিকেলের দিকে অমিত শাহের ফোন পান কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী গডকড়ি। ফোনে ঠিক হয়, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁরা কথা বলবেন একান্তে অমিতের বাড়িতেই। বাড়িতে নীতিন গডকড়ি পৌঁছতেই অমিত তাঁকে জানিয়ে দেন যে তিনি গোয়াতে পদ্ম সরকার দেখতে চান। তার জন্য যা প্রয়োজন তাই যেন করা হয়। উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হলেন নীতিন গডকড়ি, ফলে দায়িত্ব তাঁকে নিতেই হবে।
দলের চিফ হুইপের থেকে নির্দেশ পেয়ে 'শৃঙ্খলাপরায়ন দলের সদস্য' নীতিন সেই রাতেই তড়িঘড়ি গোয়া ছোটেন। হোটেলে পোঁছে সারা রাত জেগে মহারাষ্ট্রীয় গোমন্তক পার্টি, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির মতো আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সমর্থনের আদায়ের প্রশ্নে দর কষাকষি শুরু করেন। কথা চলে দুই নির্দল বিধায়কের সঙ্গেও। আঞ্চলিক দলগুলি এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়ে দেন, মনোহর পারিক্করকে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তাঁরা সমর্থন দিতে রাজি।
এই শর্তে এবার আরও সঙ্কটে পড়ে যান নীতিন। কারণ মনোহর তো কেন্দ্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে, তাঁকে কী করে সরিয়ে নেওয়া যায়! ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না সংঘ ঘণিষ্ঠ প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। অবশেষে যিনি তাঁকে '(গোয়ায় সরকার গড়ার জন্য) যা প্রয়োজন তাই যেন করা হয়' বলেছিলেন সেই অমিতের শরণ নেন ভোর পাঁচটা নাগাদ। টেলিফোনে অমিত জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘুম থেকে উঠতেই তাঁর মতামত নিয়ে নীতিন গডকড়িকে জানানো হবে পারিক্করের বিষয়টি। খানিকক্ষণের মধ্যেই আসে ফোন, গডকড়িকে জানানো হয় গেরুয়া প্রধানের সবুজ সংকেতের 'কনফার্মেশন'। আর বাকিটা তো আপনি দেখতেই পেলেন গত কয়েকদিনে। এই গোটা পর্বটাই জনসমক্ষে এনেছেন স্বয়ং নীতিন গডকড়ি। (আরও পড়ুন- গডকড়ি চালে জয় পেয়েও পরাজিত দিগ্বিজয়)